বিশ্বব্যাপী অনাহারে দিন কাটাতে চলেছেন প্রায় ২৬ কোটি মানুষ, বলছে সমীক্ষা
করোনা সংক্রমণের জেরে প্রায় বিশ্বব্যাপী ২৬ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ অনাহারে থাকতে চলেছেন বলে সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট(সিএসই) কর্তৃক প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে। একটি ওয়েবিনারে প্রকাশিত 'স্টেট অফ ইন্ডিয়া'স এনভায়রনমেন্ট ইন ফিগার্স ২০২০' শীর্ষক ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতেও প্রায় ১কোটি ২০লক্ষ মানুষ অভুক্ত থাকতে চলেছেন।

২২ বছরে প্রথমবার গোটা বিশ্বে ভয়াবহ চেহারা নিল দারিদ্রতা
এখনও লকডাউনের আওতায় বিশ্বের প্রায় অর্ধেক বেশি জনসংখ্যাই। যার ফলে গোটা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এখন কাজ হারিয়ে বেকারত্বের শিকার। কোনও রকমে ছোটখাটো উপার্জন করে দিন গুজরান করছেন অনেকে। সিএসই-র ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, এই জেরে ৪-৬ কোটি মানুষ আগামীতে চরম দারিদ্রসীমার নীচে চলে যাহে। বিগত ২২ বছরের মধ্যে প্রথমবার এই অবস্থার শিকার গোটা বিশ্বই।

করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের জোড়া আক্রমণের মুখে অর্থনীতি
সিএসই-র সাধারণ সম্পাদক সুনীতা নারায়ণ জানিয়েছেন, "গত ৪ বছরের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও উন্নয়নের স্বার্থে নেওয়া দুর্বল প্রশাসনিক পদক্ষেপের মাঝে পড়ে ভারতীয় অর্থনীতি তলানিতে এসে ঠেকেছে।" তাঁর মতে, গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত জুটেছে করোনা মহামারী, যা গরিব জনসমুদ্রকে ঠেলে দিয়েছে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে।

করোনা নতুন ভরকেন্দ্র দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়া
সিএসইর ওই রিপোর্ট বলছে, "উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়ার মত দেশে যখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে আসছে, তখনই দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া ও আফ্রিকা করোনা মহামারীর নতুন ভরকেন্দ্র হিসাবে উঠে আসছে।" এদিকে গোটা বিশ্বে যে সমস্ত দেশ গুলিতে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ চেহারা নিচ্ছে তার মধ্যে ব্রাজিল ও ভারতে আবার লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ব জুড়ে করোনা সংক্রমণের তালিকায় ভারত চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে যা যথেষ্টই চিন্তার বিষয়।

সুদৃঢ় ও সঠিক প্রশাসনিক পদক্ষেপের আর্জি
বর্তমানে এটা অন্তত স্পষ্ট যে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলির থেকে ভারত অনেক বেশি তৎপর। এই প্রসঙ্গে সুনীতা নারায়ণ জানিয়েছেন, " এখন ভারতকে ঠিক দিকে চালনা করার জন্য দরকার সঠিক সরকারি পদক্ষেপ। সফল অর্থনীতি ও সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের স্বার্থে ভারতের দরকার সঠিক প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত।" মানবসম্পদ কাজে লাগানোর পাশাপাশি প্রাকৃতিক সম্পদের আরও বেশি ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছে এই রিপোর্ট। একইসাথে বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের পর ঘুরে দাঁড়াতে হলে ভারতে যে আরেকবার সবুজ বিপ্লব দরকার, তার স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে সিএসইর এই রিপোর্টে।

প্রলয়ের পূর্বাভাস নাকি আলৌকিক কাণ্ড! রাস্তা থেকে উবে যাচ্ছে মানুষের ছায়া, সাবধান