মিলেমিশে গেল পথ নিরাপত্তা ও কোটা সংরক্ষণ আন্দোলন, বাংলাদেশে জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি
আজ সারা বাংলাদেশে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে একটি ছাত্র সংগঠন। তারা পথ নিরাপত্তার জন্য ৯টি পদক্ষেপ এবং কোটা সংরক্ষণের জন্য ৩টি পদক্ষেপ দাবি করছে।
বাংলাদেশে ক্রমেই জটিল হচ্ছে ছাত্র আন্দোলনের পরিস্থিতি। পথ দুর্ঘটনায় দুই ছাত্রের মৃত্যু ও তা নিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর অসংবেদনশীল মন্ত্বব্যের জেরে পথ নিরাপত্তা সংক্রান্ত ৯ দফা দাবিতে একটানা বিক্ষোভ আন্দোলন চলছিল। শনিবার তার সঙ্গেই আগে হওয়া কোটা সংরক্ষণ আন্দোলনের ৩ দফা দাবি জুড়ে বাংলাদেশে ছাত্রধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই ঘোষণা করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা এক লিখিত বক্তব্যে জানান, শনিবার সকাল থেকে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা হবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে কোনও গাড়িও চলাচল করবে না।
ওই লিখিত বিবৃতিতে বলা হয় সারা দেশে যখন ছাত্ররা নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করছেন তখন তাদের উপর মিরপুর, দনিয়া, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, চাঁদপুরের মতো বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ এবং সন্ত্রাসবাদীরা হামলা চালিয়েছে। এরই প্রতিবাদে সেই দেশের সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু শিক্ষার্থীদেরই নয়, ধর্মঘট সফল করতে শিক্ষক ও বাকি নাগরিকদেরও এই ধর্মঘটে অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে গত রবিবার ঢাকার এয়ারপোর্ট রোডে দুটি বেসরকারি বাসের রেষারেষির জেরে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান দুই কলেজ ছাত্র। তারপর থেকেই পথ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ৯ দফা দাবি নিয়ে একটানা আন্দোলন চালাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হওয়া সব চালকের লাইসেন্স পরীক্ষা করছেন ছাত্ররা। এমনকী বাদ যাচ্ছেন না পুলিশকর্মীরাও। অপরদিকে পুলিশও অনেক জায়গাতেই অবরোধ তুলতে ছাত্রদের উপর কঠোর হয়েছে।