
ইউক্রেনের রাজধানী সহ একাধিক শহরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ, বাড়ছে নিহতের সংখ্যা
সোমবার ইউক্রেনের একাধিক শহর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় বলে জানা গিয়েছে। ইউক্রেন রাশিয়ার থেকে বেশ কিছু অঞ্চল পুনরুদ্ধার করে। পাশাপাশি ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার মূলভূখণ্ডের সেতু বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেনের সেনারা। এই ঘটনাকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জঙ্গি হামলার সঙ্গে তুলনা করেছে। সোমবার সকাল থেকেই ইউক্রেনের একাধিক অঞ্চল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে।

ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রোস্টিস্লাভ স্মিরনভ জানিয়েছেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী কিয়েভ একাধিক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। একটি হামলায় আট জন নিহত হয়েছেন। কমপক্ষে ২৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কিয়েভের শেভোচেঙ্কো এলাকায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গিয়েছে। যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেটি একটি ঐতিহাসিক শহর। সেখানে বেশ কয়েকটি সরকারি অফিস রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ইউক্রেনের পার্লামেন্টের সদস্য লেসিয়া ভ্যাসিলেনকো টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করেছেন যাতে দেখা যাচ্ছে যে কেন্দ্রীয় কিয়েভের কিয়েভ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মূল ভবনের কাছে অন্তত একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে।ইউক্রেনের পার্লামেন্টের সদস্য লেসিয়া ভ্যাসিলেনকো টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে কিয়েভের কেন্দ্রে কিয়েভ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মূল ভবনের কাছে অন্তত একটি বিস্ফোরণ হয়েছে। কিয়েভে প্রথমে সোমবার ভোরের দিকে বিস্ফোরণ হয়। এরপর সময় যত বাড়তে থাকে রাশিয়া ইউক্রেনের একাধিক শহরে বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকে।
জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের বেশিরাভাগ আবাসিক এলাকায় রাশিয়া নিশানা করে। ইউক্রেনের বেশিরভাগ অঞ্চলে টানা চার ঘণ্টা ঘরে বিমান হামলার সতর্কতার সাইরেন বাজে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউক্রেনের ডিনিপ্রো শহর। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে, এই শহরের উপকণ্ঠে একাধিক মৃতদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। একাধিক বাড়ির জানলাক কাঁচ ভেঙে গিয়েছে। ভাঙা কাঁচ রাস্তার ওপর পড়ে রয়েছে।
এছাড়াও ইউক্রেনের পশ্চিমে লাভিভ শহরে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গিয়েছে। রুশ আক্রমণের জেরে অনেকেই রকিভ, টারনোপিল, খমেলনিটস্কি, জাইটোমির এবং ক্রোপিভনিটস্কি থেকে পালিয়ে এই শহরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। খারকিভ শহরে তিনবার বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের জেরে শহরে জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরু হয়। ক্রেমলিনের সঙ্গে রাশিয়ার সংযোগকারী ব্রিজ ইউক্রেনীয় সেনারা ভেঙে দেওয়ায় রাশিয়া তীব্র প্রতিবাদ দেখিয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট রবিবার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, কোনও সন্দেহ নেই, এটা একটা জঙ্গি হামলা ছিল।
সোমবার সকাল থেকে ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া, দাবি ইউক্রেন সেনাবাহিনীর