প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের মোবাইল হ্যাক রুশ এজেন্টদের, দাবি রিপোর্টের
প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের মোবাইল হ্যাক রুশ এজেন্টদের, দাবি রিপোর্টের
এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী থাকার সময় লিজ ট্রাসের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন হ্যাক করে বলে দৈনিক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে। রুশ এজেন্টরা ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের সময় লিজ ট্রাসের ফোন হ্যাক করা হয়।
লিজ ট্রাসের ব্যক্তিগত ফোন হ্যাক
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রুশ এজেন্টরা লিজ ট্রাসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু কোয়াসি কোয়ার্টেং এর সঙ্গে ব্যক্তি কথপোকথন ছাড়াও আন্তর্জাতিক নেতাদের সঙ্গে গোপন আলোচনার কথা রুশ হ্যাকাররা জানতে পারেন। মনে করা ইউক্রেন যুদ্ধের সময় লিজ ট্রাস অন্যান্য আন্তর্জাতিক নেতাদের সঙ্গে অস্ত্রের চালান নিয়ে আলোচনা করেন। সেই সময় একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। সেই কথপোকথন রুশ এজেন্টরা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে জানতে পারেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্রিটিশ প্রশাসনের আধিকারিক জানিয়েছেন, দীর্ঘ সময় ধরে লিজ ট্রাসের ফোন হ্যাক করা হয়। ব্রিটিশ সরকারের মুখপাত্র এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।
ব্রিটিশ প্রশাসনের তরফে বিবৃতি
ব্রিটিশ মুখপাত্রের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সরকারের কাছে সাইবার হামলা প্রতিরোধ করতে শক্তিশালী ব্যবস্থা রয়েছে। নিয়মিত ব্রিটিশ আধিকারিক ও মন্ত্রীদের এই বিষয়ে বার্তা পাঠানো হয়। কোনওভাবেই যাতে ব্রিটিশ মন্ত্রীরা সাইবার হামলার মুখে না পড়েন, সেই বিষয়ে নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে, ঠিক যে নির্বাচনে লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, তার প্রচারের সময় হ্যাকিংয়ের বিষয়ে জানা যায়। লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ৪৫ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন। বর্তমানে ব্রিটিনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক।
ব্ল্যাক মেইলের আশঙ্কা
ব্রিটিশ দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিজ ট্রাসের কথপোকথন হ্যাকিংয়ের মাধ্যে খুব সহজেই রাশিয়া ইউক্রেনের পরবর্তী পদক্ষেপ বা পশ্চিমি দেশগুলোর সাহায্যের ধারণ জানতে পারত। তবে রুশ সরকারের সঙ্গে হ্যাকারদের সরাসরি কোনও যোগ রয়েছে কি না, সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ব্রিটিশ দৈনিকের প্রতিবেদনে অনুমান করা হচ্ছে বরিস জনসনের বিরোধিতা করে লিজ ট্রাস ও কোয়াসি কোয়ার্টেং গোপন আলোচনা রুশ এজেন্টরা জানতে পারে। রুশ এজেন্টরা এই কথপোকথনকে সামনে রেখে লিজ ট্রাসকে ব্ল্যাক মেল শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে।
লিজ ট্রাসের পদত্যাগ
দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আসা হয় বরিস জনসনের বিরুদ্ধে। কনজারভেটিভ দলের অভ্যন্তরে ব্রিটিনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হয়। ব্রিটেনের কনজারভেটিভ দলের সদস্যরা ভোট দিয়ে লিজ ট্রাসকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেন। কিন্তু লিজ ট্রাস ক্ষমতা গ্রহণের ৪৫ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন। তিনি জানান, যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তা তিনি রক্ষা করতে পারেননি।
সারদায় সমস্ত স্থাবর সম্পত্তি নিলামে তুলতে চলেছে সেবি! অংশ নিতে পারেন আপনিও