হিজাব না পরা মহিলাকে পরিষেবা দেওয়ার অভিযোগ, ইরানে বরখাস্ত করা হল ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে
হিজাব না পরা মহিলাকে পরিষেবা দেওয়ার অভিযোগ, ইরানে বরখাস্ত করা হল ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে
ইরানে হিজাব বিরোধী আন্দোলন যত তীব্র হচ্ছে, তত কঠোর হচ্ছে ইরানের প্রশাসন। ব্যাঙ্কে হিজাব না পরে আসা মহিলাদের পরিষেবা দেওয়ার অভিযোগে ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইরানের নিয়ম অনুযায়ী ১৩ বছরের ঊর্ধ্বে যে কোনও মহিলার হিজাব বাধ্যতামূলক। ইরানের নীতি পুলিশ দেশের মহিলারা সঠিকভাবে হিজাব পরছেন কি না, সেই দিকে নজর রাখে।
ইরানের একটি সংবাদ সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে, তেহরানের কাছে কোম প্রদেশের একটি ব্যাঙ্কে এক মহিলা হিজাব ছাড়া আসেন। ব্যাঙ্কের আধিকারিক সেই হিজাব ছাড়া মহিলাকে পরিষেবা দেন। এই অভিযোগে ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ইরানের বেশির ভাগ ব্যাঙ্ক সরকারি। সেখানে মেয়েরা হিজাব পরে আসছেন কি না, তা দেখার দায়িত্ব ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের। কর্মের গাফিলতির অভিযোগ নিয়ে এসে ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৯ সালে ইরানের রাজতন্ত্রের উৎখাতের পরে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হয়। তারপর থেকেই ইরানে হিজাব বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। বার বার ইরানের নাগরিকরা হিজাবের বিরোধিতা করে সরব হয়েছিলেন। পরে পোশাকের বেশ কিছু নিয়মের পরিবর্তন দেখতে পাওয়া যায়। ইরানের নয়া নিয়ম অনুযায়ী মেয়ের আঁটোসাঁটো পোশাক পরতে পারেন। কিন্তু হিজাব মেয়েদের পরা আবশ্যিক। চলতি বছরের জুলাইতে ইরানের অতি রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হিজাবকে কঠোরভাবে বাধ্যতামূলক করার জন্য সরকারি সংস্থাকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে ইরানে অনেক মহিলা হিজাব বাধ্যতামূলকের বিরোধিতা করেন।
সঠিকভাবে হিজাব না পরার কারণে ইরানে তেহরানের কাছে নীতি পুলিশ ২২ বছরের তরুণী আমিনিকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের তিন দিন পর আমিনির মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, তেহরান পুলিশের নির্মম অত্যাচারের জেরে কুর্দিশ তরুণী আমিনির মৃত্যু হয়। এরপরেই ইরানের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ১৬ সেপ্টেম্বর আমিনির মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই ইরানে বিক্ষোভ হয়।
কঠোর হাতে ইরান প্রশাসন এই বিক্ষোভ দমন করার চেষ্টা করে। এই বিক্ষোভে ব্যাপকভাবে তরুণ সমাজ অংশ নিয়েছে। মহিলাদের বিরুদ্ধে পুরুষরাও এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে। জানা গিয়েছ, বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করার অপরাধে ৫৮ জন শিশুকে হত্যা করেছে ইরান প্রশাসন। বেসরকারি সংস্থার হিসেবে তাদের বয়স ১৫ বছরের কম। ইরান প্রশাসন বিরোধিতা করার অপরাধে স্কুল ছাত্রী থেকে মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের হত্যা করেছে। গ্রেফতার করেছেন বিভিন্ন সমাজকর্মীকে। ফুটবল বিশ্বকাপে ইরানের একাধিক খেলোয়াড় প্রকাশ্যে ইরানের বিক্ষোভকে সমর্থন করেন।
থানাগুলি পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে, পুলিশকে বেনজির আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর