ধনী ব্যক্তিদের একজন সাধারণ নাগরিকের থেকে ১০লক্ষ গুন বেশি গ্রিন গ্যাস নিঃসরণ করে, দাবি রিপোর্টের
ধনী ব্যক্তিদের একজন সাধারণ নাগরিকের থেকে ১০লক্ষ গুন বেশি গ্রিন গ্যাস নিঃসরণ করে
বিশ্বে উষ্ণায়ণ ক্রমেই বাড়ছে। তার কারণ হিসেবে অনেকক্ষেত্রে উঠে এসেছে কার্বনের পরিমাণ বৃদ্ধি। অক্সফামের একটি নতুন প্রতিবেদন দাবি করেছে, বিশ্বের সবচেয়ে ব্যক্তিদের মধ্যে ১২৫ জনের বিনিয়োগের ফলে বছরে গড়ে গড়ে ৩০ লক্ষ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন হয়। একজন সাধারণ মানুষের গড় কার্বন ডাই অক্সাইডের নির্গমণের থেকে প্রায় ১ মিলিয়ন গুন বেশি। প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, এই ধনী ব্যক্তিদের ১৮৩টি সংস্থায় ২.৪ ট্রিলিয়ন অংশীদারিত্ব রয়েছে।
অক্সফামের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, জীবাশ্ম জ্বালানি ও সিমেন্টের তো দূষিত শিল্পে বিশ্বের সব থেকে ধনী ব্যক্তিদের ব্যাপক পরিমাণ বিনিয়োগ রয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে ১২৫জন ধনী ব্যক্তির বিনিয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থা থেকে ৩৯৩ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়। যা ফ্রান্সের বার্ষিক কার্বন ডাই অক্সাইডের বিনিয়োগের সমান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ধনী ব্যক্তিরা তাঁদের প্রাইভেট জেটে ১৬ মিলিয়নবার ভ্রমণ করেছেন। ৮০ লক্ষ মানুষকে প্রতি এক জন ধনী ব্যক্তির বিনিয়োগ থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের প্রভাবে পড়তে হচ্ছে।
অক্সফাম ইন্ডিয়ার প্রধান কার্য নির্বাহী আধিকারিক অমিতাভ বেহার বলেন, বিশ্বের সামগ্রিক কার্বন ডাই অক্সাইড বেশিরভাগটাই ধনী ব্যর্তির জন্য নির্গত হয়। যার প্রভাব জলবায়ু পরিবর্তনে অসীম। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বার বার আলোচনা হলেও, বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের পরিবেশে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের প্রভাব নিয়ে সেভাবে আলোচনা হয়নি। বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাব অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিরা সিমেন্ট বা জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষেত্রে বিনিয়োগ না কমান, সেক্ষেত্রে সমস্ত পদক্ষেপ অর্থহীন হয়ে যাবে।
২০২১ সালে অক্সাম একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন উৎপাদনের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্য কখনই পূরণ হবে না। এই লক্ষ্য পূরণ করতে গেলে কমপক্ষে ১.৬ বিলিয়ন হেক্টর নতুন বনের প্রয়োজন হবে, যা ভারতের আকারের পাঁচগুণের সমান। অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের জলবায়ু পরিবর্তন প্রধান নাফকোটে ডাবি বলেন, ধনী বিনিয়োগকারীদের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের হার অত্যন্ত দ্রুত হচ্ছে। ধনী ব্যক্তিরা মুনাফা অর্জন করছে। আর জলবায়ু পরিবর্তনের হার দ্রুত বাড়ছে। মানুষ ক্রমেই বিপদের মুখে পড়ছে। কার্বন নির্গম নিয়ন্ত্রণের জন্য বিনিয়োগকারীদের ওপর বিধিনিষেধ জারি করতে হবে।
ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল ২০২১-এ, রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের