লকডাউনের জেরে বিশ্বব্যাপী কার্বন নির্গমনে রেকর্ড হ্রাস
লকডাউনের জেরে বিশ্বব্যাপী কার্বন নির্গমনে রেকর্ড হ্রাস
লকডাউনে স্তব্ধ গোটা বিশ্ব। বন্ধ কলকারখানায়। ঘুরছে না গাড়ির চাকাও। এমতাবস্থায় পরিবেশ দূষণ যে আগের থেকে অনেকটাই কমবে তা জানিয়েছিলেন পরিবেশবিদরা। এবার একটানা লকডাউনের জেরে বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ রেকর্ড মাত্রায় হ্রাস পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ কমেছে প্রায় ১৭ শতাংশ
সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের থেকে এই বছরের একই সময়ে প্রতিদিন গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমেছে প্রায় ১৭ শতাংশ। বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ নিয়ে এটিই ২০২০ সালের প্রথম সুনির্দিষ্ট গবেষণা বলেও জানা যাচ্ছে। একই সাথে ভারতের ক্ষেত্রেও এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে বলে জানা যাচ্ছে।
ব্রিটেনের জার্নালে প্রকাশ গবেষণা পত্রের
ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্লাইমেট চেঞ্জ নাম জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ওই গবেষণা পত্রেই দেখা গেছে চলমান লকডাউনের সময় ভারতে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ প্রায় ২৬ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। ব্রিটেনে এই কার্বন নির্গমনের হ্রাসের পরিমাণ প্রায় ৩১ শতাংশ। অট্রেলিয়ায় ২৮.৩ শতাংশ।
কোন ক্ষেত্রে কতটা কমল কার্বন নিঃসরণ
অন্যদিকে প্রায় সমস্ত দেশেই সমস্ত আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ থাকায় বিমান চলাচলের মাধ্যমে নির্গমন প্রায় ৬০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একইসাথে যান চলাচল থেকে কার্বন নির্গমনের পরিমাণও প্রায় ৩৬ কমেছে বলে যানা যাচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন শিল্পে এই পরিমাণ কমেছে প্রায় ৮৬ শতাংশ।
একনজরে ভারতে কার্বন নিঃসরণের চিত্র
এদিকে বিগত ৩৭ বছর ধরে ভারতে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ ছিল সর্বদাই উর্ধ্বমুখী। কিন্তু করোনা সংক্রমণ রোধে ভারতজুড়ে লকডাউন জারি থাকায় কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের পরিমাণ মার্চে প্রায় ১৫ শতাংশ কমে যায় এবং এপ্রিলে কমে দাঁড়ায় প্রায় ২৬ শতাংশ। পাশাপাশি লকডাউনের জেরে খনিজ তেলের ব্যবহার কম হওয়ায় সেটাও কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ হ্রাসকে ত্বরান্বিত করেছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
১০ নয়, ঘোষিত করোনা আর্থিক প্যাকেজের পরিমাণ জিডিপি-র মাত্র ১ শতাংশ!