আমেরিকায় জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশে চলল গুলি! জখম এক বিক্ষোভকারী
সিয়াটলের জর্জ ফ্লয়েড হত্যায় প্রতিবাদ সমাবেশে গুলিতে আহত একজন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সিয়াটলে এক ব্যক্তি জর্জ ফ্লয়েড বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদস্থালের মধ্য দিয়ে গাড়ি চালায়৷ ব্যারিকেডে ধাক্কা মারে এবং আগ্নেয়াস্ত্র বের করে গুলি চালিয়ে ওই ব্যক্তি সেখান থেকে বেরিয়ে যায় বলে অভিযোগ৷ ঘটনাটি আমেরিকার সময় গতকাল রাতে ঘটে৷
গুলিবিদ্ধ ২৭ বছর বয়সের ওই হাসপাতালে পাঠানো হয়
ওই ঘটনায় একজন আহত হন৷ সিয়াটলের দমকল বিভাগ জানান, গুলিবিদ্ধ ২৭ বছর বয়সের ওই হাসপাতালে পাঠানো হয়৷ তিনি এখন সুস্থ আছেন ৷ সিয়াটল টাইমসের এক সাংবাদিক শহরের ক্যাপিটল হিল এলাকার ওই দৃশ্য ভিডিও রেকর্ড করেন৷ ওই এলাকায় বিক্ষোভকারীরা পুলিশ সীমান্তের কাছে বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য জড়ো হন৷
বর্ণবাদবিরোধী এই আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন দেশে
এদিকে শুধু আমেরিকা নয়, বর্ণবাদবিরোধী এই আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে আরও বিভিন্ন দেশে। এই সব চাপ সামলাতেই এবার বড় পদক্ষেপের ঘোষণা করা হল। গণআন্দোলনের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবাদ চলে হোয়াইট হাউজের সামনে
কয়েকদিন আগে ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের নৃশংসতা ভরা এক ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। সেখানে দেখা যায়, জর্জ ফ্লয়েডের ঘাড়ের উপর হাঁটু দিয়ে চেপে রয়েছে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মী। আর শ্বাস নেওয়ার জন্য কাতড়াচ্ছেন জর্জ। মৃত্যু হয় তাঁর। আর এরপর করোনা সংক্রমণের মাঝেই প্রতিবাদে উত্তাল আমেরিকা। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মার্কিন নাগরিকরা। প্রতিবাদ চলে হোয়াইট হাউজের সামনেও।
তাঁর মৃত্যু আসলে হোমিসাইড
জর্জের অটোপ্সি রিপোর্ট আসে। ঘাড়ে আঘাতের বা নেক কম্প্রেশনের কারণেই তাঁর মৃত্যু। এই মৃত্যুকে 'হত্যা', হোমিসাইড বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়, 'কার্ডিওপালমোনারি অ্যারেস্ট ল এন্ফোর্সমেন্ট সাবডুয়াল' এবং ঘাড়ে আঘাত ৪৬ বছরের জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর কারণ। তাঁর মৃত্যু আসলে হোমিসাইড বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।