করোনার টিকা নিলে কি আদৌও মুক্তি মিলবে, কী বার্তা দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়তে প্রয়োজন নতুন ভ্যাকসিনের
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে চিন্তিত বিশ্ববাসী। এবার আর করোনার পুরানো টিকায় কাজ হবে না। ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়তে প্রয়োজন নতুন ভ্যাকসিনের। এমনটাই জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
করোনার টিকা নিয়ে WHO কী জানালেন
WHO জানাচ্ছেন, কোভিডের পুরানো ভ্যাকসিন দিয়ে আমরা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারব না। আমাদের এখন এমন এক ভ্যাকসিনের প্রয়োজন যার দ্বারা আমরা এই প্রজাতির রোগের সংক্রমণ রোধ ও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়া থেকে রুখতে যার কার্যকরী ভূমিকা থাকবে। WHO ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে এই ধরনের ভ্যাকসিন তৈরিতে উৎসাহ দিচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনা ভ্যাকসিন উপদেষ্টা মণ্ডলীর (TAG-CO-VAC) মতে, কোভিডের পুরানো টিকাগুলি দিতে হয়ত করোনাকে আটকানো যেতে পারে বা আবার নাও পারে কিন্তু করোনার নতুন নতুন প্রজাতির সঙ্গে লড়তে পারবে না এই ভ্যাকসিনগুলি।
TAG-CO-VAC কী বলছে
TAG-CO-VAC জানাচ্ছেন, কোভিড সংক্রমণ ও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়া রুখতে, মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে, গুরুতর অসুস্থতা বিশ্বকে বাঁচাতে এখন প্রয়োজন এক প্রভাবশালী ভ্যাকসিনের দরকার। আর এই টিকা খুব তাড়াতড়ি তৈরি করা দরকার। কিন্তু যতক্ষণ না নতুন ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে ততক্ষণ আমাদের আগের টিকার উপাদানের ওপর পরিবর্তন আনতে হবে।
‘এখনই করোনা থেকে নিস্তার নয়’
WHO আরও বলেছেন, SARS-CoV-2 ভাইরাসটি খুব দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৫টি রূপকে ভ্যারিয়েন্টে মনোনীত করেছে - যেমন আলফা, বিটা, গামা, ডেল্টা ও ওমিক্রন। সংক্রমণ, রোগের উপর তাদের প্রভাবের কারণে হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু এখানেই হয়তো শেষ নয়। ভবিষ্যতে আরও কোভিডের নতুন নতুন প্রজাতির বিশ্বে আঘাত হানবে।
উদ্বেগ প্রকাশ বিশ্ববাসীর
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে করোনার প্রজাতি ডেল্টা বিশ্বজুড়ে তার প্রভাব দেখিয়েছিল। যা এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত ছিল। আবার করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ২০২২ সালে বিশ্ববাসী উদ্বেগ প্রকাশ করছে। ক্রমশই বাড়ছে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা।