মানুষ ১৫০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারেন! নতুন গবেষণায় খোঁজ ‘অমরত্বে’র টোটকার
মানুষ ১৫০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারেন! নতুন গবেষণায় খোঁজ ‘অমরত্বে’র টোটকার
সেই পুরানকাল থেকে অমরত্বের পিছনে ছুটতে দেখা গিয়েছে দেবতা-দানবক। মানুষেরও অমরত্ব পাওয়ার বাসনা রয়েছে। যৌবন ধরে রাখতে কে না চায়। চিরকাল বেঁচে থেকে সুন্দর পৃথিবীর অমৃত সুধা লাভের বাসনা সকলেরি। সেই বাসনাকে বাস্তবায়িত করতে বহু শতাব্দী ধরেই পরিক্রমা চলছে। গবেষণালব্ধ ফল দিচ্ছে আশার আলো।
যদি মাত্র ৮০ বছর বয়সে জন্মগ্রহণ করতে পারি...
মার্কিন লেখক মার্ক টোয়েনের এক বিখ্যাত উক্তি ছিল-"আমরা যদি মাত্র ৮০ বছর বয়সে জন্মগ্রহণ করতে পারি এবং ধীরে ধীরে ১৮-র দিকে এগিয়ে যেতে পারি তবে জীবন অসীম সুখী হবে।" সিঙ্গাপুরের একদল গবেষক মার্ক টোয়েনের সেই বিখ্যাত উক্তি নিয়েই গবেষণা করছেন। দীর্ঘকালীন বেঁচে থাকার সুধা বারির সন্ধানে রয়েছেন তাঁরা।
জীবনকাল ১২০ থেকে ১৫০ বছর পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হতে পারে
সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক বায়োটেক সংস্থা গিরোর গবেষকরা নেচার কমিউনিকেশন জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে জীবন-বৃদ্ধির গতি নিয়ে ইঙ্গিত করেছেন। এই গবেষণায় প্রকাশির হয়েছে কীভাবে জীবনকাল ১২০ থেকে ১৫০ বছর পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হতে পারে। মানবজীবনের সীমা সম্পর্কে ওই জার্নালে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আর মৃত্যুকে একটি অভ্যন্তরীণ জৈবিক প্রক্রিয়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তৃণমূলে সায়নীর উল্কার মতো উত্থান, মমতার মাস্টারস্ট্রোক নাকি যোগ্য নেতার অভাব
আমেরিকা-ইংল্যান্ড-রাশিয়ার বৃহৎ গোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ডেটায় নজর
মানুষের জীবনের এই বিবর্তনটি মূল্যায়ন করার জন্য গবেষকরা রক্তের কোষের গণনায় পরিবর্তন এবং প্রতিদিনের গৃহীত পদক্ষেপের সংখ্যা পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং রাশিয়ার বৃহৎ গোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ডেটায় নজর রেখেছিলেন। গবেষকরা এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, "মানুষের বৃদ্ধিতে জটিল ব্যবস্থাগুলির মধ্যে সাধারণ সর্বজনীন বৈশিষ্ট্য প্রদর্শিত হয়।
বর্ষাকাল ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে ভারতে, ভূ-বিজ্ঞানীদের গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
রক্তের কোষগুলির শক্তি ক্রমহ্রাসমান হয়ে মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়ে
টিমোথি ভি পাইরকভের নেতৃত্বে সিঙ্গাপুরের দলটি পর্যবেক্ষণ করেছে যে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগের প্রকোপ বাড়ে। রক্তের কোষগুলি ফিরিয়ে আনতে পারে দেহের ক্ষমতা। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্তের কোষগুলির শক্তি ক্রমহ্রাসমান হয়ে পড়ে। তাঁরা পর্যবেক্ষণ করেন, যখন এই স্থিতিস্থাপকতা পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে যাবে তখন মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়বে মানুষ।
একা রামে রক্ষা নেই সুগ্রিব দোসর, মুকুলকে নিয়ে কি এবার ত্রিপুরা-বিজয়ের লক্ষ্যে অভিষেক
স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পেতে পেতে বয়স ১২০-১৫০ বছর হয়ে যাবে
গবেষকরা খুঁজে পেয়েছে, পুরো স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পেতে পেতে মানুষের বয়স ১২০ থেকে ১৫০ বছর হয়ে যেতে পারে। আমেরিকানের বৈজ্ঞানিকদের কথা গিরোর প্রতিষ্ঠাতা সহ-লেখক পিটার ফেদিচেভ তুলে ধরেন তাঁর লেখায়। তিনি বলেন, "যদিও বেশিরভাগ জীববিজ্ঞানী রক্ত কোষের গণনা এবং পদক্ষেপের সংখ্যাটিকে একেবারেই আলাদা হিসাবে দেখবেন, তবে জীবনের গতি-বৃদ্ধির বয়সের উপাদানটিই আসল।
মুকুলের হাতে বিজেপির ৩৫ নেতার নামের তালিকা! আলোচনা শুরু অভিষেকের সঙ্গে
শারীরিক চাপ সহ্য করার ক্ষমতা কমতে শুরু করে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে
গবেষণার আরও আকর্ষণীয় পর্যবেক্ষণে এই সত্যটি অন্তর্ভুক্ত ছিল যে শারীরিক চাপ সহ্য করার এবং শারীরিকভাবে পুনরুদ্ধার করার ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। গবেষক দলটি পর্যবেক্ষণ করেছে যে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগের বাইরেও কারণগুলি অনুমেয় এবং ক্রমহ্রাসমান। তা প্রতিরধ করে শারীরিকভাবে তরতাজা থাকাই জীবনকাল দীর্ঘায়িত করার রসদ।
প্রক্রিয়াটি ধীর করতে পারে এবং হেলথস্প্যানকে প্রসারিত করতে পারে
রোজওয়েল পার্ক থেকে মার্কিনভিত্তিক সহ-লেখক আন্দ্রে গুডকভ বলেন, বয়স-সম্পর্কিত রোগগুলির সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধ ও চিকিৎসা কেবলমাত্র গড়ের উন্নতি করতে পারে। তবে সত্যিকারের অ্যান্টি-এজিং থেরাপিগুলি তৈরি না করা হলে সর্বাধিক জীবনযাত্রার ক্ষেত্র উন্নতি হবে না। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে, ওষুধের বিকাশে প্রক্রিয়াটি ধীর করতে পারে এবং হেলথস্প্যানকে প্রসারিত করতে পারে। উল্লেখ্য, সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি জ্যান ক্যালমেন্ট ফ্রান্সে 122 বছর বয়সে মারা গেছেন।
চাইলেই নাতির ঘরের নাতি-পুতির মুখ দেখতে পারেন মানুষ
নেচার কমিউনিকেশনে প্রকাশিত গবেষণা সামনে আসার পর বলা যেতে পারে, চাইলেই বেঁচে থাকতে পারেন মানুষ। যদি কোনও বিরাট অসুখের প্রকোপে না আপনাকে পড়তে হয়, আপনি নাতি-পুতি তো বটেই, তাঁদেরও নাতি-পুতির মুখ দেখার সৌভাগ্যও আপনার হতে পারে।শুধু একটু নিরাধারা মেনে আপনাকে চলতে হবে।
ডায়নামিক অর্গানিজম স্টেট ইন্ডিকেটরের স্কোর যদি ১০০ হয়
আমেরিকার সাহিত্যিক মমার্ক টোয়েনের নেতৃত্বে একদন বিজ্ঞানী মানুষের আয়ু নিয়ে যে গবেষণালব্ধ ফল সামনে এনেছে, তাতে স্পষ্ট মানুষের ১২০ থেকে ১৫০ বছর পর্যন্ত আয়ু থাকে স্বাভাবিকভাবে। শরীরের ডায়নামিক অর্গানিজম স্টেট ইন্ডিকেটরের স্কোর জানিয়ে দেবে আপনি কতদিন বাঁচবেন। এই স্কোর যদি ১০০ হয়, আপনি দীর্ঘজীবন লাভ কররা সুযোগ পাবেন।
শ্বেতকণিকা, লোহিত কণিকা, প্লেটলেট ও অনুচক্রিকার হিসেব
গবেষণা বলছে, মানুষের শরীরে বার্ধক্য যখন আসে, তখন রক্তকোষে বদল আসে। সিঙ্গাপুরের বিজ্ঞানীরা ডায়নামিক অর্গানিজম স্টেট ইন্ডিকেটরের সাহায্যে জানেন কোন মানুষ কত বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। তার জন্য বিশেষ ধরনের একটি রক্ত পরীক্ষা করতে হয়। এই পরীক্ষায় রক্তে উপস্থিত শ্বেতকণিকা, লোহিত কণিকা, প্লেটলেট ও অনুচক্রিকা হিসেব করেই সিদ্ধান্তে আসেন গবেষকরা।
স্কোর যত কম হবে, তত কম বয়স পর্যন্ত বাঁচবেন সেই ব্যক্তি
গবেষকদের কথায়, ডায়নামিক অর্গানিজম স্টেট ইন্ডিকেটরের স্কোর যত কম হবে, নির্দিষ্ট মাপকাঠি অনুযায়ী তত কম বয়স পর্যন্ত বাঁচবেন সেই ব্যক্তি। সাধারণ রোগের মোকাবিলা শরীর কতটা করতে পারবে, তা জানা যাবে এই স্কোর থেকে। এই স্কোর রেট যিনি সঠিক রাখতে পারবেন, তিনি বাঁবচেন ১৫০ বছর বয়স পর্যন্ত।
ডায়নামিক অর্গানিজম স্টেট ইন্ডিকেটরের সঠিক থাকবে কীভাবে
গবেষকরা আপাতত এতদূর পর্যন্ত তাঁদের গবেষণা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। কী করলে এই ডায়নামিক অর্গানিজম স্টেট ইন্ডিকেটরের স্কোর সঠিক রাখা সম্ভব হবে, তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। ডায়নামিক অর্গানিজম স্টেট ইন্ডিকেটরের সঠিক রাখার বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা চলছে।