For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

নাসাকে টেক্কা, ভারতীয় বিজ্ঞানীরা খোঁজ দিলেন নতুন গ্রহের

আহমেদাবাদের ফিজিকাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি (পিআরএল)-র বিজ্ঞানীরা একটি সুপার নেপচুন আকারের গ্রহ আবিষ্কার করেছে, যা ভরে পৃথিবীর প্রায় ২৭ গুণ এবং ব্যাসার্ধে পৃথিবীর ৬ গুণ।

Google Oneindia Bengali News

মহাকাশ গবেষণায় বড় সাফল্য পেল ভারত। আহমেদাবাদের ফিজিকাল রিসার্চ ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীদের একটি দল পৃথিবীর থেকে ২৭ গুন বেশি ভরের ও ৬ গুন বেশি ব্যাসার্ধের একটি গ্রহ আবিষ্কার করলেন। তবে আমাদের সৌরজগতে নয়, গ্রহটি ঘুরপাক খায় পৃথিবী থেকে ৬০০ আলোকবর্ষ দূরের সূর্যের মতোই আরেকটি নক্ষত্রের চারপাশে। পৃথিবাতে হাতেগোনা কয়েকটি দেশই এখনও পর্যন্ত নতুন গ্রহের সন্ধান দিতে পেরেছে। সেই তালিকায় নাম তুলল এবার ভারতও।

ভারতীয় বিজ্ঞানীরা খোঁজ দিলেন নতুন গ্রহের

গ্রহটিকে অবশ্য চোখে দেখতে পাননি বিজ্ঞানীরা। রাজস্থানের আবু পাহাড়ে ফিজিকাল রিসার্চ ল্যাবরেটরির একটি অবজারভেটরি আছে। সেই গুরুশিখর অবজারভেটরির ১.২ মিটার লম্বা টেলিস্কাপ সম্বৃদ্ধ 'পিআরএল অ্যাডভান্স রেডিয়াল-ভেলোসিটি আবু-স্কাই রিসার্চ' বা 'পরস' স্পেক্ট্রোগ্রাফের মাধ্য়মে গ্রহটির ভর পরিমাপ করে অস্তিত্ব জানা গেছে । ভারতীয় বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে নক্ষত্রটিকে কেন্দ্র করে পাক খায় গ্রহটি, তার নাম ইপিআইসি ২১১৯৪৫২০১ বা কে২ - ২৩৬, আর গ্রহটির নাম দেওয়া হয়েছে ইপিআইসি ২১১৯৪৫২০১বি বা কে২ - ২৩৬বি।

গ্রহ আবিষ্কার হলেই প্রথম যে প্রশ্নটা আসে মাথায়, সেখানে কী প্রাণ আছে? দেখা মিলবে ভিনগ্রহীদের? বিজ্ঞানীরা কিন্তু এব্যাপারে হতাশই করছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন নিজের নক্ষত্রটির থেকে গ্রহটির দূরত্ব বড়ই কম। সূর্য থেকে পৃথিবীর যে দূরত্ব কে২ - ২৩৬ থেকে তার সাতগুন কাছে রয়েছে কে২ - ২৩৬বি। ফলে এর ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশি, ৬০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এত কাছে থাকায় নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করতেও অনেক কম সময় নেয় গ্রহটি। আমাদের পৃথিবী যেখানে সূর্যের চারপাশে একপাক ঘুরতে ৩৬৫ দিন সময় নেয়, সেখানে এই গ্রহটি মাত্র সাড়ে ১৯ দিনেই একপাক ঘুরে আসে এর নক্ষত্রের চারদিকে।

আমাদের সৌরজগত পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল নেপচুন বা শনির মতো বড় আকারের গ্রহরা নক্ষ্ত্রের খুব কাছে থাকতে পারে না। কিন্তু পরে গবেষণায় সেই ধারণা ভুল প্রমাণ হয়। কিন্তু তত্ত্বগতভাবে তা জানা গেলেও নক্ষত্রের খুব কাছাকাছি এতবড় গ্রহের সন্ধান এর আগে পাওয়া যায়নি। তাই বিজ্ঞানীদের দাবি, কে২ -২৩৬বি গ্রহটি নিয়ে গবেষণা করলে জানা যেতে পারে কিকরে নক্ষত্রের এত কাছে এত বড় আকারের গ্রহ সৃষ্টি হয়।

তবে গ্রহটির অস্তিত্বের প্রথম খোঁজ পেয়েছিল নাসার কেপলার ২ ফোটোমেট্রি। মহাকাশে নক্ষত্ররা জ্বলজ্বল করলেও সেই আলোর ছটায় গ্রহদের সন্ধান পাওয়াটা বেশ কঠিন। কেপলার ২ কোনো হোস্ট নক্ষত্রের আলোর সামনে তাকে প্রদক্ষিণকারী গ্রহের ছায়া দেখে গ্রহটির সন্ধান করে। কে২ -২৩৬বি এর সন্ধানও এভাবেই মিলেছিল। কিন্তু আদৌ এটি কোনও গ্রহ না অন্য কোনও মহাজাগতিক বস্তু তা নিয়ে ধন্দে ছিলেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

ভারতীয় বিজ্ঞানীরা এখানেই টেক্কা দিয়ে গেলেন নাসাকে। তাঁরা সাফল্যের সঙ্গে গ্রহটির ভর পরিমাপই শুধু করেননি, জানিয়েছেন আরও অনেক অজানা তথ্য গত দেড় বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে গ্রহটিকে। জানা গেছে, এটি গঠিত হয়েছে মূলত বরফ, সিলিকেট, এবং লোহা দিয়ে। এর ভরের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই দখল করে আছে এই তিনটি পদার্থ। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটা সবে শুরু। দিনে দিনে তাঁরা আরও তথ্য তুলে আনবেন এই রাক্ষুসে গ্রহের পেট থেকে।

English summary
The scientists from the Physical Research Laboratory (PRL), Ahmedabad, have discovered a super-Neptune size planet, which is about 27 times the mass of Earth and six times the radius of Earth.
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X