কবর থেকে কথা বলছেন মৃত মানুষটি! জীবনের 'শেষ রসিকতা'র ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল
প্রিয়জন হারানোর বেদনায় তখন শোকাতুর উপস্থিত সকলে। শেষকৃত্যে অংশ নেওয়া সবার মধ্যে গ্রাস করেছে শোকাচ্ছন্নতা। সেইসময় সমাধিক্ষেত্র কফিনবন্দি মৃত মানুষের আওয়াজ শুনে হতবাক হয়ে গেল সকলে।
প্রিয়জন হারানোর বেদনায় তখন শোকাতুর উপস্থিত সকলে। শেষকৃত্যে অংশ নেওয়া সবার মধ্যে গ্রাস করেছে শোকাচ্ছন্নতা। সেইসময় সমাধিক্ষেত্র কফিনবন্দি মৃত মানুষের আওয়াজ শুনে হতবাক হয়ে গেল সকলে। এক কি সম্ভব! আঁতকে ওঠার আগে সবাইয়ের মধ্যেই তখন এই জিজ্ঞাসা। কফিনবন্দি ব্যক্তি শেষ হাসি হেসে জানিয়ে দিলেন তিনি বাক্সেই আছেন।
আইরিশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর অভিজ্ঞ সেনানি ৬২ বছর বয়সী শায় ব্র্যাডলি। গত ১২ অক্টোবর কিলকনির কিলমানগরে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার আগেই ঘটে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা। তিনি কথা বলেন, তাঁর অস্তিত্বের জানান দেন। আবার গানও শোনান।
অনেকে ভাবেন- সমাধিস্থ হওয়ার আগে নিহত বলে উঠতে পারেন, "আমাকে ছেড়ে দিন, এখানে অন্ধকার হয়ে গেছে।" যখন ব্রাডলিকে তাঁর কফিন থেকে মাটিতে নামাচ্ছিল, তখন কান্নাকাটিও শোনা যেতে পারে। শোনা যেতে পারে নক করার শব্দও। কিন্তু ব্রাডলি "আমি কি সেই যাজকের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি? আমি শায়, আমি বাক্সে আছি।"
তখন ব্রাডলির ভঙ্গিতে শোকজ্ঞাপনকারীরা হাসতে শুরু করেন। তখন আগে রেকর্ড করা একটি গান করতে শুরু করেন ব্রাডলি, "হ্যালো এগেইন হ্যালো, হ্যালো আমি কেবল বিদায় জানাতে ডাকলাম।" তিনি তাঁর এই কথার মধ্যে খোলাখুলি নিশ্চিত করেছিলেন, বন্ধুরা তাকে বিদায় জানাতে এসে কেউ কাঁদবে না, সবাই হাসবে।
আইরিশ ডিফেন্স ফোর্সেস ভেটেরান্সের তরফে এই নিউজ ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। একটি ভিডিও সঙ্গে শেয়ার করা হয়। শেয়ার করা ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ৫১ হাজারেরও বেশি ভিউ পেয়েছে। মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।
ব্র্যাডলির মেয়ে আন্দ্রেয়া জানান, তাঁর বাবা তিন বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, গত এক বছর ধরে এমনই নানা পরিকল্পনা করেছিলেন। সর্বদা তাঁর জীবন পরিপূর্ণ ছিল এবং তিনি মাপের দিক থেকে যেমন বড় ছিলেন, তেমনি ব্যক্তিত্বের দিক থেকেও বড় ছিলেন। তাঁর এক বোন যখন শোকে কাতর, তখন বাবা এই কথা শুনে বলে উঠেছিল, এটাই বুঝি তাঁর শেষ রসিকতা ছিল, বিদায় জানার উপায় ছিল এটি।
এর পাশাপাশি বাবাকে হারিয়ে আমরা যে দুঃখ পেয়েছে, তা ভাষায় প্রকাশ করার নয়। তা সত্ত্বেও আমরা এটা পাঠিয়েছি সোশাল মিডিয়ায়। আমরা এটা পাঠিয়েছি, কারণ আমরা অনলাইন প্রতিক্রিয়া জানাতে চেয়েছিলাম। মানুষের কাছ থেকে এত সাড়া পেয়েছি যে, তা অবিশ্বাস্য। প্রচুর মানুষ দেখেছেন এই ভিডিও।