এক পুত্রের ‘খোলা চিঠি’ বাবাকে! ‘স্বর্গ’ থেকে ১০ দিনে এল ‘জবাব’, নিমেষে ভাইরাল
এক পুত্রের চিঠি তার স্বর্গীয় বাবাকে। যা পড়লে মুহূর্তেই দুচোখ জলে ভরে যাবে। এ এক আলাদা অনুভূতি, আলাদা আবেগ। পিতা-পুত্রের স্নেহ-ভালোবাসার ছোট্ট কোলাজ।
এক পুত্রের চিঠি তার স্বর্গীয় বাবাকে। যা পড়লে মুহূর্তেই দুচোখ জলে ভরে যাবে। এ এক আলাদা অনুভূতি, আলাদা আবেগ। পিতা-পুত্রের স্নেহ-ভালোবাসার ছোট্ট কোলাজ। এ চিঠি এক পুত্র লিখেছে তার 'হারিয়ে যাওয়া' পিতাকে। আবার তা পাঠিয়েছে স্বর্গের ঠিকানায়। ১০ দিনের মধ্যে সেই চিঠির প্রত্যুত্তরও পেয়েছে বাবার জন্য মন কেঁদে ওঠা ছেলে।
দু-লাইনের ছোট্ট ‘চিঠি’
এখন আর কেউ চিঠি লেখে না, কিন্তু এ ছেলে যে অন্যরকম। তাই কালি-কলম নিয়ে বাবাকে লিখে ফেলেছে ছোট্ট চিঠি। স্কটল্যান্ডের বাথগেট শহরে ছেলের লেখা মাত্র দু-লাইনের এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বাবার‘ঠিকানা'য়। মনে হাতে পারে কী করে সম্ভব এই অবিশ্বাস্য ঘটনা।
জন্মদিনের কার্ড স্বর্গের ঠিকানায়
স্কটল্যান্ডের বাথগেটের বাসিন্দা ছোট্ট জেস হাইন্ডম্যান যে চিঠি পাঠিয়েছে তার বাবাকে, তা আসলে জন্মদিনের একটা কার্ড। যার উপর কাঁচা হাতে লেখা- ‘মিস্টার পোস্টম্যান, আজ আমার বাবার জন্মদিন। আপনি কি এই চিঠিটা স্বর্গে আমার বাবার কাছে পৌঁছে দেবেন?'
ছোট্ট জেসের বার্তা পেয়ে
এটুকুই লিখেছে জেস। তারপর খামটা তুলে দেয় পোস্টম্যানের হাতে। কিন্তু তিনি কী করে একরত্তি শিশুকে বোঝাবেন, যে এই চিঠি বাবার কাছে পাঠানো আর সম্ভব নয়। কিন্তু ছোট্ট জেসের ইচ্ছা তো পূরণ করতেই হবে। উপায় কী? অনেক ভেবে উপায়ও খুঁজে পেয়ে যান পোস্ট ম্যান।
জেসের ইচ্ছাপূরণে রয়্যাল
এরপর রয়্যাল মেল ছোট্ট জেসের ইচ্ছাপূরণ করার জন্য দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয়। জেসকে পাল্টা চিঠি লেখে রয়্যাল মেল। সেই চিঠিতে লেখা হয়- তোমার চিঠিটা স্বর্গে পাঠানো সত্যি খুব কঠিন ছিল। কেননা আকাশে অনেক তারা-নক্ষত্র, গ্রহ-উপগ্রহের বাধা কাটিয়ে স্বর্গে যাওয়া কি মুখের কথা।
জেসের চিঠি স্বর্গে
জেস, তা সত্ত্বেও সমস্ত বাধা কাটিয়ে তোমার লেখা চিঠি তোমার বাবার কাছে পৌঁছে দিয়েছি আমরা। তোমার চিঠি পৌঁছে গিয়েছে স্বর্গে, তোমার বাবার হাতে। রয়্যাল মেলের এই চিঠি পেয়ে যারপর নাই খুশি। সবথেকে খুশি এই ভেবে যে বাবার হাতে পৌঁছেছে তার লেখা চিঠি।
চার বছর আগের সেদিন
চার বছর আগে জেসের বাবা ‘স্বর্গে‘' চলে যান। ২০১৪ সালে মাত্র ২৮ বছর বয়সে মৃত্যু হল জেমসের। চারপর থেকেই মায়ের হাত ধরে বাবার সমাধিতে ফুল দিয়ে আসত জেস আর তার দিদি। এবারই জেসের মনে হয়েছে, সে একটা জন্মদিনের কার্ড পাঠাবে বাবার কাছে।
শুভেচ্ছা-বার্তা স্বর্গে
সেই কারণেই নিজের পছন্দমতো একটা জন্মদিনের কার্ড কিনে এনেছিল জেস। তার উপর জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা লিখেছিল সে। তারপরই খামের উপর পোস্ট ম্যানের উদ্দেশ্যে ছোট্ট একটা আবেদন লিখে, তা পাঠিয়ে দিয়েছিল ‘স্বর্গের ঠিকানা'য়।
১০ দিনে এল জবাব
এর ঠিক ১০ দিন পর রয়্যাল মেলের চিঠি পেল জেস। র্যাল মেলের তরফে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার স্যাম মিলিগ্যান লিখলেন চিঠি স্বর্গে পাঠানোর খবর। পাল্টা চিঠি দিয়েই নিশ্চিত করলেন তার বাবা, স্বর্গে বসে জেসের চিঠি পড়েছেন।
ফেসবুকে ভাইরাল চিঠি
আর এই দুই চিঠির কোলাজ ফেসবুকে পোস্ট হতেই মূহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে উঠেছে। জেসের মা টেরি কপল্যান্ড তা পোস্ট করেছেন নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে। তারপরই শ্য়ার আর লাইকের বন্যা বইতে শুরু করে। তিনি রয়্যাল মেলের এই উদ্যোগকেও ধন্যবাদ দিয়েছেন।