ড্রাগ দিয়ে, যৌন হেনস্থার পর খুন করা হল ১০ বছরের মেয়েটিকে, অন্যতম সন্দেহভাজন মা
মেক্সিকো, ২৬ আগস্ট : আলবুকারেকের বাড়ি থেকে ফোন যেতেই সময় নষ্ট না করেই পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশের একটা টিম। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ১০ বছরের ভিক্টোরিয়া মার্টিনের দেহ নিথর হয়ে পড়ে রয়েছে মাটিতে। ১০ বছরের বার্থডে পার্টির কয়েক ঘন্টা আগেই তাকে খুন করা হয়েছে। [ছেলেকে পিটিয়ে মারল মা, কিন্তু কেন? সামনে এল হাড় হিম করা তথ্য]
শুধু ছোট্ট মেয়েটিকে মেরে ফেলাই নয়, যেভাবে খুন করা হয়েছে ভিক্টোরিয়াকে তাতে হতচকিত পুলিশ। একরত্তি মেয়ের সঙ্গে কার এত বড় শত্রুতা হতে পারে যে এত নিষ্ঠুরভাবে তাকে খুন করা হয়েছে। প্রশ্নের জবাব পাওয়ার পর আকাশ থেকে পড়েছেন তদন্তকারী অফিসাররই। [মায়ের লিভ-ইন সঙ্গীর হাতে ধর্ষিত ২১ বছরের তরুণী! মেয়ের গালেই চড় কষাল মা!]
ভিক্টোরিয়ার হত্যার মূল সন্দেহভাজন তার মা মিশেল মার্টিন (৩৫) এবং তার বয়ফ্রেন্ড ফাবিয়ান গনজেলস (৩১)। তাদের সঙ্গী গনজেলের তুতোবোন জেসিকা কেলি (৩১) [মালদহে চার বছরের মেয়ের মাথা খুটে মাংস খেতে গিয়ে ধরা পড়ল মা]
তদন্তকারী এক আধিকারিকদের কথায়, আমার গোটা পেশাদারি জীবনে এমন নৃশংস ঘটনা আগে দেখিনি। মেথামফেটামিনের মতো কড়া ড্রাগ প্রথমে দেওয়া হয় ভিক্টোরিয়াকে। তারপর তার যৌনশোষণ করে ছুড়ি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় ১০ বছরের মেয়েটিকে।
পুলিশ বাড়িতে পৌঁছনোর পর ভিক্টোরিয়ার মা কাঁদতে কাঁদতে পুলিশকে জানায়, কেউ তার মেয়েকে খুন করে দিয়েছে। ওই বাড়িতে গনজেলসকেও পাওয়ায় যায়। তার প্যান্টে রক্তের দাগ লেগেছিল তখনও। সে পুলিশকে জানায় পরিস্কার করতে গিয়ে গায়ে রক্ত লেগে গিয়েছে তারা। অন্যদিকে পুলিশ বাড়িতে ঢুকলে ভয় পেয়ে বারান্দা দিয়ে লাফ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে কেলি। যদিও পরে কেলিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। [শয়তানের অর্চনায় অষ্টাদশীকে জোর করে ১৮০০ পুরুষের সঙ্গে যৌন মিলনে বাধ্য করল মা!]
বাড়ির শৌচাগার থেকে ভক্টোরিয়ার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর শোয়ার ঘরের কার্পেটেও রক্তের ছাপ পাওয়া গিয়েছে। মিশেল, গনজেলস এবং কেলির বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে য়ার মধ্যে রয়েছে শিশু হেনস্থার কারণে মৃত্যু, অপহরণ, প্রমাণ নষ্ট কার চেষ্টা ষড়যন্ত্র প্রভৃতি। এছাড়াও গনজেলসের বিরুদ্ধে নাবালিকার যৌনশোষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।