করোনাভাইরাসে একদিনে ১০০ জনের মৃত্যু, হিমশৈলের চূড়া মাত্র, জানালো হু
করোনাভাইরাসে একদিনে ১০০ জনের মৃত্যু, হিমশৈলের চূড়া মাত্র, জানালো হু
চিনে মারণ রোগ করোনাভাইরাসে একদিনে ১০০ জনের মৃত্যু প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে যে এটা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। করোনাভাইরাসে চিনে মৃত্যুর হার ক্রমশই বাড়ছে। রবিবার চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ২০০২–০৩ সালে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া সার্সকেও (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) ছাড়িয়ে গেছে। সে সময় সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বের ২৪টিরও বেশি দেশে মোট ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়, আক্রান্ত হন ৮ হাজার ৯৮ জন। প্রসঙ্গত রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত এ দেশে নোভেল করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের, এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ল ৯০৮ জন।
মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস
সোমবার সকালে চিনের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এখনও পর্যন্ত ৪০১৭১ জন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সার্স ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা করোনাভাইরাসের চেয়ে বেশি ছিল। চিনে নতুন করে এই রোগের মৃত্যু নিয়ে হু প্রধান টেড্রোস অ্যাডহানম গেব্রিয়াসাস বলেন, ‘মানুষের থেকে কিছু করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে (বিদেশে) পড়ার কিছু ঘটনা ঘটেছে। অল্প সংখ্যক কেস সনাক্তকরণ অন্যান্য দেশে তা আরও বিস্তৃত সংক্রমণকে ইঙ্গিত করতে পারে। সংক্ষেপে বলা যায় আমরা শুধুমাত্র হিমশৈলের চূড়াচাই দেখতে পাচ্ছি।'
এই ভাইরাস ছড়িয়েছে বিশ্বের ২৫টি দেশে
২৫ টি দেশে ৩০০টি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। হংকং ও ফিলিপিনসে ২জন করোনাভাইরাসে মারা গিয়েছেন। ৯ ফেব্রুয়ারি মধ্য চিন প্রদেশে ২,৬১৮টি করোনাভাইরাসে আকঞরান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে ৯১ জন নতুন করে মারা গিয়েছে এবং ৩৫৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সরকারিভাবে জানা গিয়েছে, করোনাভাইরাসে মোট ২৯,৬৩১ জনের মধ্যে ৮৭১ জন মারা গিয়েছে এবং ১,৭৯৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ভাইরাসে দেশটির বাইরে মানুষ থেকে মানুষে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণ অনুসন্ধানে সেখানে যাচ্ছে হু-এর তদন্তকারী দল।
করোনাভাইরাস সনাক্ত করার পদ্ধতির অভাব
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চিনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। একপর্যায়ে এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণা করে হু। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ৬৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন হু প্রধান টেড্রোস অ্যাডহানম গেব্রিয়াসাস। বহু দেশেই করোনা ভাইরাস শনাক্তের পদ্ধতি না থাকাই বড় দুশ্চিন্তার কারণ বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভাইরাসে আক্রান্তদের সনাক্ত, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং তাদের সেবা নিশ্চিতে দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি মানুষ থেকে মানুষে ছড়ানো ঠেকাতে সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।'