For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

কেমন ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সেই ৯ মাস?

Google Oneindia Bengali News

ঘটনার সূত্রপাত ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে। সেই নির্বাচনে জয় লাভ করে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লিগ। তবে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে নারাজ হয় পশ্চিম পাকিস্তানের সমনদে বসে থাকা রাজনৈতিকরা। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের উপর শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার। সেই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার

মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ। সেই রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ঢাকায় অজস্র সাধারণ নাগরিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী ও বাঙালি পুলিশকর্তাদের হত্যা করে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে। এর পরের দিন চট্টগ্ৰামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে পূৰ্ব বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-প্ৰধান মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

৯ মাসের যুদ্ধে ৩০ লক্ষ নিরীহ বাংলাদেশি প্রাণ হারান

৯ মাসের যুদ্ধে ৩০ লক্ষ নিরীহ বাংলাদেশি প্রাণ হারান

এরপর চলা দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধে ৩০ লক্ষ নিরীহ বাংলাদেশিদের হত্যা করেছিল পাকিস্তানি হার্মাদরা। জীবন বাঁচাতে কয়েক হাজার আওয়ামী লীগের নেতারা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে। সেই বছরের ৩ ডিসেম্বর শুরু হওয়া ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের ১৩ দিনের মাথায় মুক্তি লাভ করে বাংলাদেশ। সেই যুদ্ধে বাংলাদেশে যুদ্ধরত ৩৯০০ ভারতীয় সেনাও শহিদ হন। ১০ হাজারেরও বেশি সেনা জখম হন যা পরবর্তী জীবনটাই বদলে দেয় তাঁদের।

১ কোটি শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নেয়

১ কোটি শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নেয়

এদিকে যুদ্ধ বিদ্ধস্ত পূর্ব পাকিস্তান থেকে সেই সময় প্রায় ১ কোটি শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নেয়। এত সংখ্যায় শরণার্থী ভারতে চলে আসায় সেই সময় এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে দেশের অর্থনীতির উপর। এরই মাঝে পাকিস্তানকে ভারতে আসা শরণার্থীদের সুরক্ষিত ভাবে ফিরিয়ে নিতে বলেন ইন্দিরা গান্ধী। তবে সেই আলোচনা ভেস্তে যায়। আর ৩ ডিসেম্বর ভারতের উপর আক্রমণ করে পাকিস্তান।

ইন্দিরা গান্ধীর তৎপরতা

ইন্দিরা গান্ধীর তৎপরতা

১৯৭১ সালের বিজয় দিবসের ঠিক আগের দু সপ্তাহ ধরে চলেছিল তীব্র যুদ্ধ। ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনা যখন একযোগে ভারতের মোট এগারোটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়, সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা সেনা অভিযানের কথা ঘোষণা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম সীমান্তে পুরাদস্তুর যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় সেদিন থেকেই, যদিও তার প্রস্তুতিপর্বটা চলছিল আগের বেশ কয়েক মাস ধরে। তৎকালীন ভারতীয় সেনাপ্রধান স্যাম মানেকশ পরে জানিয়েছিলেন ভারতীয় সেনাকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে এপ্রিল মাসেই নির্দেশ দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী।

যুদ্ধের প্রস্তুতি

যুদ্ধের প্রস্তুতি

১৯৭০ সালে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন হয়েছিল। রাজ্যে নকশাল আন্দোলন ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কারণে সে সময় প্রচুর সৈন্য তখন আগে থেকেই মোতায়েন ছিল। যুদ্ধের আগে সেটা ভীষণ কাজে দিয়েছিল। পাশাপাশি ভারতীয় একটি বিমান হাইজ্যাক হওয়ায় ভারতের উপর দিয়ে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যকার বিমান চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয় ভারত। এর জেরে পাকিস্তান ভারী সামরিক সরঞ্জাম, রসদ বা সৈন্যসামন্ত সরাসরি আকাশপথে পূর্বদিকে আনতে পারেনি।

১৩ দিন যুদ্ধ চলে

১৩ দিন যুদ্ধ চলে

ভারত সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পরার পর ১৩ দিন ধরে যুদ্ধ হয় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। তবে ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি। এই পরিস্থিতিতে দেশের তিন সেনার প্রধানকে ইন্দিরা গান্ধী সবরকম স্বাধীনতা প্রদান করেন। ৩ ডিসেম্বর ভারতের উপর যখন পাকিস্তান আক্রম করেন, সেই সময় কলকাতায় ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। আক্রমণের খবর পেয়েই তিনি দিল্লির উদ্দেশে রওয়ানা হন। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি রাজধানী থেকে ভাষণ রাখেন।

বিজয় দিবস

বিজয় দিবস

শেষ পর্যন্ত ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের দিনেই ঢাকার রমনা রেসকোর্সে ভারতীয় কমান্ডর জগজিৎ সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পন করেন ৯৩ হাজার সেনা সমেত পাকসেনা কমান্ডর লেফটেন্যান্ট জেনারেল একে নিয়াজি। স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ।

English summary
a brief history of bangladesh liberation war
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X