আশি বছরের ছেলের চিন্তায় শতায়ু ছুঁই ছুঁই মা! মাতৃত্বের এমন কাহিনি যা চোখে জল আনবে
নিজের ৮০ বছরের ছেলের দেখভালের জন্য একই হোমে জায়গা নিলেন ৯৮ বছরের অ্যাডা কিটিং। এখন মা-ছেলে একই হোমে আনন্দে রয়েছেন।
কুপুত্র যদিবা হয়, কুমাতা কদাপি নয়। বাংলার এই প্রবাদবাক্যকেই প্রমাণ করলেন ৯৮ বছরের ব্রিটিশ মহিলা অ্যাডা কিটিং। নিজের ৮০ বছরের ছেলের দেখভালের জন্য একই হোমে চলে গেলেন অ্যাডা। এখন মা-ছেলে একই হোমে আনন্দে রয়েছেন।
লিভারপুলের বাসিন্দা টম কিটিং-এর বয়স ৮০ বছর। এই বয়সে অকৃতদার টম কিটিং-এর দেখাশোনার কেউ ছিল না। কারণ তাঁর মা অ্যাডার বয়স ৯৮ বছর। সেকারণেই গত বছর হিউস্টনে একটি বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে থাকতে শুরু করেন তিনি, যাতে তাঁর দেখাশোনা ঠিক মত হয়। এভাবে ছেলেকে ছেড়ে বছর খানেক ছিলেন অ্যাডা কিটিং। কিন্তু শেষপর্যন্ত আর থাকতে পারলেন না তিনি। নিজে হাতে অশীতিপর ছেলের দেখভালের জন্য নিজেও চলে গেলেন হিউস্টনের ওই হোমে।
এখন একই হোমে একসঙ্গে থাকেন মা- ছেলে। এমনকী একসময়ের নার্স অ্যাডা হোমের অন্যান্যদেরও দেখাশোনা করছেন। ছেলের সঙ্গে বসে একসঙ্গে টিভি দেখছেন, ফুটবল ম্যাচ দেখছেন। এমনকী প্রতিরাতে ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে তবেই নিজে ঘুমোতে যাচ্ছেন অ্যাডা। মাঝে মধ্যে আবার ৮০ বছরের ছেলেকে শাসন করতেও ছাড়ছেন না তিনি।
বড় ছেলে টমের প্রতি চিরকালই একটু বেশিই দুর্বল অ্যাডা। তাঁর পরিবারও মাঝেমধ্যেই এই হোমে আসেন তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে। এবং মা- ছেলেকে একসঙ্গে দেখে প্রত্যেকেই খুব খুশি। এমনকী মা- ছেলের এই মেলবন্ধনে খুশি হোম কর্তৃপক্ষও। হোমের ম্যানেজার ফিলিপ ড্যানিয়েল জানিয়েছেন, আজকের দিনে সন্তানের সঙ্গে মায়ের এমন সম্পর্ক খুবই বিরল। এই হোমেও যাতে তাঁরা একসঙ্গে আরও ভাল সময় কাটাতে পারেন, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ড্যানিয়েল।
কিন্তু অ্য়াডা নিজে কী বলছেন। তাঁর কথায়, 'একবার মা হওয়ার পর জীবনের শেষদিন পর্যন্ত আপনি মা-ই থাকবেন'।