দেশকে গাড্ডায় ফেলে দিয়েছেন ইমরান খান, মত ৮০ শতাংশ পাকিস্তানি জনগণের
বর্তমানে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান সরকারের উপর যে সেদেশের খুব একটা আস্থা নেই, তা একপ্রকার ওপেন সিক্রেটে পরিণত হয়েছে। কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া এবং আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফৈজ হামেদ এই বিষয়ে বিরোধী দলগুলির প্রধান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
কী কারণে খুন বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা? জট খুলল রহস্যের! সিআইডির জালে দুই
মোহভঙ্গ হয়েছে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের
আর এরপরই জল্পনা শুরু হয়েছে। যেই ইমরান খানের সরকারকে গদিতে বসাতে উৎসুক ছিল সেদেশের সেনা, সেই ইমরানের উপর কি তবে মোহভঙ্গ হল তাদের। তবে শুধু সেনা বা রাজনৈতিক দলগুলির নয়, মোহভঙ্গ হয়েছে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষেরও। এমনই তথ্য উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়।
বেজায় বিরক্ত সেদেশের মানুষ
করোনা পরিস্থিতিতে যখন গোটা বিশ্ব জেরবার, তখন পাকিস্তানেও এর প্রভাব পড়েছিল বিস্তর। তবে সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার বদলে ইমরান খান প্রশাসন তা ধামাচাপা দিয়ে কাশ্মীর ইস্যুতে মাতামাতি করছিল। অন্যদিকে আবার আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার যুদ্ধে নিজেদের সেনা পাঠিয়েছে পাকিস্তান। যাতে বেজায় বিরক্ত সেদেশের মানুষ।
পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ মানুষ সরকারের কাজে সন্তুষ্ট নয়
বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মার্কেট রিসার্চ কোম্পানির একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ মানুষ বর্তমান সরকারের কাজে সন্তুষ্ট নয়। ফ্রান্সের ওই কোম্পানিটি পাকিস্তানের বিভিন্ন গ্রাম ও মফস্বল এলাকায় গত সেপ্টেম্বর মাসে ওই সমীক্ষা চালিয়েছে। ১৮ বছরের উর্দ্ধে থাকা ৫০০ জন পুরুষ ও ৫০০ জন মহিলার সঙ্গে কথা বলে তারা।
বেহাল হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা
সমীক্ষায় অংশ নেওয়া পাকিস্তানি জনগণের মত, ২০১৯ সালের পর থেকেই ভুল পথে হাঁটছে দেশ। ক্রমশ বেহাল হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা যার জন্য দায়ী বর্তমান ইমরানের নেতৃত্বাধীন সরকার। তাছাড়া প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে দুই জন পাকিস্তানি মনে করেন, বেকারত্বের পরিমাণ যেভাবে বাড়ছে তা সরকারের ভুল নীতির জেরে।
মুদ্রাস্ফীতি, দারিদ্রতার জন্যে ইমরান খানের সরকার দায়ী
দেশের মুদ্রাস্ফীতি, দারিদ্রতার জন্যেও ইমরান খানের সরকারকে দায়ী করছে ৪০ শতাংশ জনগণ। সমীক্ষায় আরও উঠে এসেছে, পাকিস্তান অধিকৃত পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় দুর্নীতিই সবচেয়ে বড় সমস্যা। আর সিন্ধুপ্রদেশের মানুষের অসন্তোষ লোডশেডিংয়ের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে।