নাইজারের গ্রামে সন্দেহভাজন ইসলামপন্থীদের হামলায় প্রায় '৭৯ জন নিহত'
দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে মালি সীমান্তবর্তী ওই অঞ্চলটির সুরক্ষার জন্য সেনাবাহিনী পাঠানো হয়েছে।
আফ্রিকার দেশ নাইজারের দুটি গ্রামে সন্দেহভাজন ইসলামপন্থী জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে অন্তত ৭৯ জনকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
চোম্বাঙ্গু গ্রামে নিহত হয়েছেন অন্তত ৪৯ জন। আহত হয়েছেন ১৭ জন। অন্যদিকে জারোমদারে গ্রামে হামলায় আরও ৩০ জন নিহত হয়েছেন।
এই দুটি গ্রামের অবস্থান দেশটির পশ্চিমে মালি সীমান্তের কাছে।
আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে সম্প্রতি বেশ কয়েকবার জঙ্গি হামলার মতো ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার ফ্রান্স জানিয়েছে যে, মালিতে নিযুক্ত তাদের দুই সেনাও নিহত হয়েছেন।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে, আল-কায়েদার সাথে সংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠী জানায় যে, সোমবার মালিতে পৃথক আরেকটি হামলায় তিন ফরাসি সেনা নিহতের পেছনে তাদের হাত ছিল।
পশ্চিম আফ্রিকায় ইসলামপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পশ্চিম আফ্রিকা এবং ইউরোপীয় মিত্রদের নিয়ে একটি জোট গঠন করে, নেতৃত্ব দিচ্ছে ফ্রান্স।
তবে নাইজার এবং মালির মতো দেশগুলো প্রতিনিয়ত জাতিগত সহিংসতা, মানবপাচার, মাদক চোরাচালান এবং ডাকাতির শিকার হয়ে আসছে।
নাইজারের দুটি গ্রামে সর্বশেষ হামলার খবরটি সরকারি ফরাসি আরএফআই-এর সংবাদমাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে।
নাইজারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলকাছে আলহাদা জানান, ওই অঞ্চলটির সুরক্ষায় সৈন্য পাঠানো হয়েছে।
দেশগুলির টিলাবেরি অঞ্চল, যেখানে গ্রামগুলো অবস্থিত, সেখানে ২০১৭ সাল থেকেই জরুরি অবস্থা চলছে। এবং পুরো নাইজারজুড়ে জিহাদী গোষ্ঠীগুলোর হামলার ঘটনা সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়তে পারেন:
মোজাম্বিকে গ্রামবাসীদের 'নির্বিচারে হত্যা' করেছে ইসলামপন্থী জঙ্গিরা
হোলি আর্টিজান হামলা: সাতজনের মৃত্যুদণ্ড
আদালত চত্বরে আইএস-এর প্রতীক প্রদর্শন নিয়ে প্রশ্ন
জঙ্গি মতাদর্শ ঠেকাতে বাংলাদেশ কতটুকু চেষ্টা করছে?
গত মাসে নাইজেরিয়ার জিহাদী গোষ্ঠী বোকো হারাম দক্ষিণ-পূর্ব ডিফফা অঞ্চলে হামলা চালিয়ে অন্তত ২৭ জনকে হত্যা করেছে।
নাইজারে জাতীয় নির্বাচনের মধ্যেই ওই দুটি গ্রামে সবশেষ এই হামলার ঘটনা ঘটলো। দুই দফায় পাঁচ বছর করে মেয়াদ শেষে দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহামাদৌ ইসৌফু এবার পদত্যাগ করেছেন।