ইথিওপিয়ায় সহকর্মীদের হাতে পণবন্দি ৭ ভারতীয়! দাবি ভারি অদ্ভুত, তদন্ত করছে বিদেশ মন্ত্রক
বকেয়া বেতন না পাওয়ায় ইথিওপিয়ার তিনটি স্থানে আইএলঅ্যান্ডএফএস-এর স্থানীয় কর্মীরা ৭জন ভারতীয় কর্মীদের আটকে রেখেছে বলে জানা গিয়েছে।
ইথিওপিয়ায় 'ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিজিং অ্যান্ড ফিনানশিয়াল সার্ভিসেস' সংস্থার ৭ ভারতীয় কর্মীকে পন-বন্দি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে তাদের আটকে রেখেছেন সংস্থারই স্থানীয় কর্মীরা। দীর্ঘদিন ধরে সংস্থার তরফে বেতন না পাওয়াতেই ওই ভারতীয়দের আটকে রেখেছেন স্থানীয়রা। এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।
আটক ৭ ভারতীয় কর্মীর মধ্যে নীরজ রঘুবংশী নামে এক ব্যাক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, গত ২৫ নভেম্বর তারিখ থেকে ওরোমিয়া ও আমহারা প্রদেশের ৩টি স্থানে তাদের আটকে রাখা হয়েছে। তাঁর দাবি তাঁরাও গত ৫ মাস ধরে মাইনে পাননি। কিন্তু স্থানীয় কর্মীরা মনে করছেন ভারতীয় কর্মীদের আটকে রাখলে সংস্থা তাদের প্রাপ্য বেতন মেটাতে বাধ্য হবে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনও তাদেরই সমর্থন করছেন বলে নীরজ অভিযোগ করেছেন।
#SOS @rashtrapatibhvn @GRamnathkovind @narendramodi Sir we seven people are hostage by locals in Ethiopia, due to non payments of #ILFS What is employee's fault sir.even we didn't get salary from last 5 months all worked in Ethiopia for #ILFS help please b4 it's 2late #sos #Help
— neeraj raghuwanshi (@chota86) November 29, 2018
তিনি জানিয়েছেন গত কয়েকদিনে ইথিওপিয়ায় সংস্থা রাস্তা তৈরি সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রকল্প শিবির থেকে অফিসাররাও পাত্তারি গোটাতে শুরু করেছেন। তাতেই স্থানীয়দের মনে ভয় ধরেছে, তাদের বকেয়া বেতন সংস্থার তরফ থেকে মেটানো হবে না। আর সেই ভয়ের বশেই তাদের পনবন্দী করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
আইএলএন্ডএফএস-এর ওই কর্মী আরও জানিয়েছেন তাঁরা স্থানীয় কর্মীদের বেতন সময়মতো দেওয়া হবে বলে আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু, ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক-এর বাধার জন্য তারা তহবিল পাঠাতে পারছেন না।
ই-মেইল জানিয়েছে যে আইএলএলএসএস এফএস ম্যানেজমেন্ট বলেছে যে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক) কর্তৃক সীমাবদ্ধতার কারণে এটি তহবিল পাঠাতে পারে না।
টুইটটি তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ ভারত ও ইথিওপিয়ার বেশ কয়েকজন কর্তাব্যক্তিকে পাঠিয়েছেন। বিদেশ মন্ত্রক থেকে এই ব্যাপারে খোঁজখবর চালানো হচ্ছে। জানা গিয়েছে আদ্দিস আবাবা-এর ভারতীয় দূতাবাসের তরফে ইথিওপিয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে, 'ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিজিং অ্যান্ড ফিনানশিয়াল সার্ভিসেস' সংস্থা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।