নিয়ানডারথালই করোনার উৎস! বাঙালিদের দেহে সব থেকে বেশি রয়েছে এই জিনের পরিমাণ
দক্ষিণ এশিয়ায় অন্তত ৩০ শতাংশ মানুষের শরীরে রয়েছে নিয়ান্ডারথালের জিন। আর এই জিনের সঙ্গেই সম্পর্ক রয়েছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের। সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গিয়েছে যে নিয়ান্ডারথাল মানবের থেকে মানুষের দেহে এসেছে করোনা সম্পর্কিত জিন।

নিয়ান্ডারথালের জিন ৬৩ শতাংশ বাংলাদেশির শরীরে
প্রায় ৬০,০০০ বছর আগে যে হোমিনিন গোষ্ঠীর প্রজাতির অস্তিত্ব ছিল, তাদের শরীরেই এই নিয়ান্ডারথালের জিন মিলত। এখনও এই জিন রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন মানুষের শরীরে। আর দক্ষিণ এশিয়ার মানুষদের মধ্যে এর পরিমাণ সব থেকে বেশি। এর মধ্যেও বাংলাদেশে এই জিন বাংলাদেশে প্রায় ৬৩ শতাংশ মানুষের শরীরে রয়েছে।

আফ্রিকায় সেই জিনের একেবারেই উপস্থিতি মেলেনি
গবেষণা অনুযায়ী, ওই নির্দিষ্ট জিনটি পূর্ব এশিয়ার মাত্র চার শতাংশ বাসিন্দার বহন করেন। আফ্রিকায় সেই জিনের একেবারেই উপস্থিতি মেলেনি। এদিকে গবেষণা অনুযায়ী, প্রায় আট শতাংশের মানুষের শরীরে এই জিন লক্ষ্য করা গিয়েছে।

সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়
নিয়ান্ডারথালের ডিএনএ-র প্রায় ৩ শতাংশ নিয়ে নিয়ে আধুনিক এশিয়া এবং ইউরোপের মানুষের জিন গঠিত। হাজার হাজার বছর আগে আন্তঃ প্রজননের কারণে তা হয়েছে বলে গবেষণায় দাবি করা হয়েছে। এদিকে এই জিনের প্রাধান্য থাকলে সেই মানবদেহে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
