ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবলে ইন্দোনেশিয়া, হাসপাতালে অবরুদ্ধ রোগীরা! সুনামি নিয়ে কোন সতর্কতা প্রশাসনের
ফের ভয়াবহ ভূমিকম্পের (earthquake) কবলে ইন্দোনেশিয়া (indonesia)। এদিন ভোররাতে রিখটার স্কেলে (richter scale)৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পটি হয় সেখানকার সুলাওসি দ্বীপপুঞ্জে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, সেখানে ১০ জনের বেশি মানু
ফের ভয়াবহ ভূমিকম্পের (earthquake) কবলে ইন্দোনেশিয়া (indonesia)। এদিন ভোররাতে রিখটার স্কেলে (richter scale)৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পটি হয় সেখানকার সুলাওসি দ্বীপপুঞ্জে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, সেখানে ১০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা শতাধিক। সেদেশের ডিজাস্টার মিটিগেশন এজেন্সি এমনটাই জানিয়েছে। এদিকে ভূমিকম্পের জের আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। ঘর থেকে বেরিয়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা।
ভূমিকম্পের উৎসস্থল
এদিনের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মাজেনি শহরের ৬ কিমি উত্তর পূর্বে, ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিমি নিচে। প্রাথমিকভাবে সেদেশের ডিজাস্টার মিটিগেশন এজেন্সি জানিয়েছে, মাজেনি শহরে চার জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয়শো। অন্যদিকে পাশেই মামুজুতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা প্রায় ৫০ জনের মতো।
আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বাসিন্দারা
স্থানীয়
সময়,
রাত
একটা
নাগাদ
ভূমিকম্প
আঘাত
হানে।
আতঙ্কে
হাজার
হাজার
বাসিন্দা
বাড়ির
বাইরে
বেরিয়ে
পড়েন।
প্রাথমিক
হিসেবে
প্রায়
একশো
বাড়ির
ক্ষতি
হয়েছে।
প্রায়
সাত
সেকেন্ডের
মতো
সময়
ধরে
প্রবল
ভূমিকম্প
অনুভূত
হয়।
বাসিন্দাদের
মধ্যে
সুনামি
আতঙ্ক
দেখা
দিলেও,
তবে
সেখানে
কোনও
রকমের
সুনামি
সতর্কতা
দেওয়া
হয়নি।
সোশ্যাল
মিডিয়ায়
দেওয়া
ভিডিও
থেকে
দেখা
যাচ্ছে,
বাসিন্দারা
মোটর
সাইকেলে
মাঠের
দিকে
পালাচ্ছেন।
অন্যদিকে
ভূমিকম্পের
ফলে
আটকে
পড়া
শিশু
থেকে
সাধারণ
মানুষকে
বের
করে
আনতে
খালি
হাতেই
চেষ্টা
চালিয়ে
যাচ্ছেন
বাসিন্দারা।
ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে প্রচুর
বেশ
কিছু
বাড়ির
ব্যাপক
ক্ষতি
হয়েছে।
দুটি
হোটেলও
রয়েছে
এর
মধ্যে।
এছাড়াও
গভর্নরের
অফিস,
মলেরও
ক্ষতি
হয়েছে।
ব্রিজের
ক্ষতি
হওয়ায়
মামুজু
যাওয়ার
একটি
রুট
বন্ধ
হয়ে
গিয়েছে।
বৃহস্পতিবারেই
এই
একই
জেলাতেই
৫.৯
মাত্রার
ভূমিকম্প
আঘাত
হানে।
সেই
ভূমিকম্পেও
প্রচুর
ক্ষতি
হয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়ার
ডিজাস্টার
এজেন্সি
জানিয়েছে
গত
২৪
ঘন্টায়
তিন
দ্বীপপুঞ্জে
একের
পর
এক
ভূমিকম্প
হয়েছে।
যার
জেরে
বিদ্যুৎ
সরবরাহে
বিঘ্ন
ঘটেছে।
এদিকে
এই
ভূমিকম্পের
জেরে
মামুজুতে
ভেঙে
পড়েছে
হাসপাতাল।
ধ্বংসাবশেষের
নিচে
আটকে
পড়েছেন
রোগী,
চিকিৎসক
থেকে
নার্স
সকলেই।
প্রশান্ত মহাসাগরের রিং অফ ফায়ারে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়া
প্রশান্ত
মহাসাগরীয়
রিং
অফ
ফায়ারে
অবস্থানের
কারণে
ইন্দোনেশিয়া
ভূমিকম্প
প্রবণ।
ভূমিকম্প
ছাড়াও
সেখানে
অগ্ন্যুৎপাতও
হয়
মাঝে
মধ্যেই।
২০১৮
সালে
৬.২
মাত্রার
ভূমিকম্পের
পরেই
সুনামি
হয়েছিল
সুলেওসির
পালুতে।
কয়েক
হাজার
মানুষের
মৃত্যু
হয়েছিল
সেই
সময়।
২০০৪-এর
২৬
ডিসেম্বর
৯.১
মাত্রার
ভয়াবহ
ভূমিকম্প
হয়েছিল
ইন্দোনেশিয়ায়।
সেই
সময়
সুনামির
জেরে
প্রায়
একলক্ষ
সত্তর
হাজার
মানুষের
মৃত্যু
হয়েছিল।