বৃহস্পতিবার ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন, লড়াইয়ে রেকর্ড সংখ্যক ভারতীয় প্রার্থী, জানুন খুঁটিনাটি
বৃহস্পতিবার অকালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে যুক্তরাজ্য ইংল্যান্ডে। এবছর ব্রিটিশ সংসদে প্রবেশের জন্য লড়ছেন মোট ৫৬ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রার্থী।
ব্রেক্সিট পরবর্তী ব্রিটেন সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের অচলাবস্থা কাটাতে চায়। সরকারের নিশ্চয়তা, স্থিতিশীলতার প্রশ্নে এমনটা করা আশু প্রয়োজন। আর সেজন্যই বৃহস্পতিবার অকালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে যুক্তরাজ্য ইংল্যান্ডে। এমনটাই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার সময় জানিয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।
২০১৫ সালে শেষবার ইংল্যান্ডে সংসদীয় ভোট হয়। মোট ১০জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রার্থী ভোটে জিতে ব্রিটিশ সংসদে পা রাখেন। আর এবছর সেই সংখ্যাটা দ্বিগুণ অথবা তিনগুণ হলেও আশ্চর্যের কিছু থাকবে না। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ তথ্য বলছে, এবছর ব্রিটিশ সংসদে প্রবেশের জন্য লড়ছেন মোট ৫৬ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রার্থী।
এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম হল প্রীতি প্যাটেল, অলোক শর্মা, বীরেন্দ্র শর্মা, শৈলেশ বরার মতো পরিচিত সাংসদরা। এছাড়াও যাদের দিয়ে নজর থাকবে এমন প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন পল উপ্পল, তনমনজিৎ সিং, কুলদীপ সিং সাহোটা, প্রীত কউর গিলের মতো প্রার্থীরা।
এতজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রার্থী রয়েছেন অথচ তার মধ্যে একজনও বাঙালি নেই তা আবার হয় নাকি। ২০০৯ সালে কলকাতা থেকে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমানো রোহিত দাশগুপ্ত লেবার পার্টির হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। তিনি পূর্ব হ্যাম্পশায়ার থেকে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়া সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী রয়েছেন ১৮ বছর বয়সী আরান রঙ্গি। তিনি গ্রিন পার্টির প্রার্থী।
ব্রিটেনে এশীয় জনসংখ্যার মধ্যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের থেকে ভারতীয়রা সবদিক থেকে এগিয়ে রয়েছে। ষাট ও সত্তরের দশকে যেখানে ব্রিটিশ-ভারতীয়রা শ্রমিকের সমঅধিকার প্রশ্নে বেশি করে লেবার পার্টিকে ভোট দিত, ২০১৫ সালে এসে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার পর তারা কনজারভেটিভের দিকে ঝুঁকে গিয়েছে। তাছাড়া লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন ২০০২ গুজরাত দাঙ্গার প্রসঙ্গ টেনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনার করার পর থেকে ভারতীয়দের সমর্থন অনেকটাই খুইয়েছে লেবার পার্টির সদস্যরা, এদিকে লাফিয়ে বেড়েছে কনজারভেটিভের প্রতি সমর্থন।
ঘটনা হল, ব্রিটেনের এমন অনেক আসন রয়েছে, যেখানে ব্রিটিশ-ভারতীয়দের ভোটের উপরে ফলাফল নির্ভর করছে। ফলে ভোটদানের ক্ষেত্রে যেমন ভারতীয়রা নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারেন, তেমনই নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে রেকর্ড গড়তে পারেন কিনা সেটাই এখন দেখার।