বড় কূটনৈতিক সাফল্য! নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের অস্থায়ী সদস্য পদের পক্ষে সওয়াল ৫৫টি দেশের
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ চায় ভারত। এ দাবি দীর্ঘদিনের। এক্ষেত্রে বড় কাঁটা হয়েছিল ভারত-পাক সম্পর্ক। কিন্তু সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে এখন পাকিস্তান অনেকটাই কোনঠাসা। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে কূটনৈতিকদের কাজে লাগিয়েছিল দিল্লি। সে প্রচেষ্টা যে বিফলে যায়নি তা প্রকাশ্যে এসেছে এতোদিনে। নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ দেওয়ার সমর্থনে এবার বলতে শুরু করেছে ৫৫টি দেশ। রাষ্ট্রপু্্ঞ্জে ভারতের প্রতিনিধি সইদ আকবর উদ্দিন জানিয়েছেন, নিরাপত্তা পরিষদে ২০২১-২২ সালে ভারতকে অস্থায়ী সদস্যপদ দেওয়ার জন্য প্রায় ৫৫টি এশিয়ার উপসাগরীয় দেশ। সেজন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করেছেন সইদ।

এর আগে ১৯৫০-৫১, ১৯৬৭-৬৮, ১৯৭২-৭৩, ১০৭৭-৭৮,১৯৮৪-৮৫,১৯৯১-৯২ এবং ২০১১-১২ এই সাত বছর নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্যপদে থেকেছে ভারত। সেই পদ ফিরে পাওয়ার জন্য কিরগিজস্তানের এসসিও সামিটে নতুন করে তদ্বির শুরু করেছিল ভারত। সেই সামিটে ভারতীয় কূটনৈতিকরা একাধিক দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এসসিও সামিটে বিভিন্ন দেশের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে এই বিষয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে ভারতের কূটনীতিকরা। প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছিলেন, এসসিও ভুক্ত দেশগুলি অবশ্যই ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদের সমর্থনে কথা বলবেন। ২০২১-২২ এবং ২০২৭-২৮ এই দুই বছরই নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদ পাওয়ার জন্য সচেষ্ট হয়েছে ভারত।
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ রয়েছে পাঁচটি দেশের। আমেরিকা, ব্রিটেন, চিন, রাশিয়া এবং ফ্রান্স। এছাড়াও অস্থায়ী সদস্য হিসেবে রয়েছে ১০টি দেশ। এই অস্থায়ী সদস্যপদের দাবি জানিয়ে আসছে ভারত। ২০১০ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণসভায় নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্যপদের জন্য ভোটাভুটিতে ১৯০টি ভোটের মধ্যে ১৮৭টি ভোট পেয়েছিল ভারত। ভারত তারপরে পুণর্নির্বাচন দাবি করে। তার প্রস্তুতিতেই লাগাতার কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল ভারত। যার ফল মিলেছে এতোদিনে।