ঈদের সকালে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বাংলাদেশ, মৃত ১ পুলিশকর্মী-সহ ৩
ঢাকা, ৭ জুলাই : ফের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বাংলাদেশ। ঈদের দিন বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ফের বিস্ফোরণ। মৃত্যু হল এক পুলিশ অফিসারের। আহত ৬ পুলিশকর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ ছাড়াও আহত হয়েছেন ১১ জন সাধারণ মানুষ। এই ঘটনায় এক হত্যাকারীর মৃত্যু হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। [জঙ্গি হামলার চেয়েও এই বিষয়টি বেশি ভাবাচ্ছে বাংলাদেশকে]
বাংলাদেশের হাইপ্রোফাইল গুলশন এলাকার রেস্তোরাঁয় জঙ্গিহানায় ২০ জনের মৃত্যুর পর ফের ঈদের দিন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। এই হামলার দায় এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। তবে গুলশনে হামলার পর আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী দাবি করেছিল, বাংলাদেশে আবারও হামলা হবে। [জঙ্গি হামলা নিয়ে ঢাকাকে সতর্ক করেছিল নয়াদিল্লি, আমল না দিয়েই ডুবল বাংলাদেশ!]
পুলিশ সূত্রের খবর, ঢাকা থেকে ১০০ কিলোমিটার দুরে কিশোরগঞ্জের এক দরগায় ঈদ উপলক্ষে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। নামাজ চলাকালীন একটি দরগার বাইরে বিস্ফোরণ হয়। মূলত ককটেল বোমার সাহায্যে জঙ্গিরা বিস্ফোরণ ঘটায় বলে খবর। এরপর জঙ্গি পুলিশ লড়াই শুরু হলে, জঙ্গিদের গুলিতে একজন পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়। মৃত পুলিশ কর্মীর নাম জহিরুল। ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ময়মনসিংহ হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে। [(Update) গুলশন সন্ত্রাস : ২০ জন পণবন্দিকে খুন করা হয়েছে, মৃত ১ ভারতীয় মহিলাও]
মৌলানা আল্লামা ফরিদউদ্দিন মাসুদ বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত মনোবিদ। তিনি এই জমায়েতে অংশ নিয়েছিলেন। হামলাকারীগের টার্গেট মূলত তিনি ছিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তাঁর নিরাপত্তার জন্যই পুলিশ সেখানে মজুত ছিল। বন্দুকবাজরা অতর্কিতে হামলা চালানোয় হতচকিত হয়ে যায় পুলিশ। হামলার জন্য পুলিশ প্রস্তুত ছিল না। [ঢাকা সন্ত্রাস: মাদ্রাসা নয়, ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র ছিল 'আততায়ীরা', পরিবারও বিত্তশালী]
কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কয়েকদিন আগে যেখানে বাংলাদেশে এত বড় হামলা হল, তারপরে জঙ্গি গোষ্ঠীক তরফে আবারও হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি এসেছিল তাহলে পুলিশ কেন মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত ছিল না সে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। জঙ্গিরা এলাকায় লুকিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই এলাকায় চিরুণী তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। [ঢাকা সন্ত্রাসের ৪ দিন পরে ঈদের জন্য ২ দিনের ছুটি ঘোষণা মমতার, কাকে বোকা বানাচ্ছেন?]