ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পক্ষে অধিকাংশ আমেরিকান; সমীক্ষায় উঠে এল তথ্য
ইতিমধ্যেই প্রতিনিধি পরিষদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন প্রস্তাব অনুমোদন পায়। ২৩২ জনের মধ্যে ১৯৬ জন এই প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছিল। এই পর্স্তাব গৃহীত হওয়ার পরের দিনই উঠে এল নতুন তথ্য। ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের প্রস্তাবের পক্ষে রয়েছেন সেদেশের ৪৯ শতাংশ মানুষ। বিপরীতে ৪৭ শতাংশ মানুষ তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। অর্থাৎ তারা অভিশংসন চান না। তবে এর মধ্যেও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির ১৮ শতাংশ ভোটার ট্রাম্পের অভিশংসন চাইছেন।

আরও চাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট
শুক্রবার ওয়াশিংটন পোস্ট ও এবিসি নিউজ ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট সম্পর্কে জনমত জানতে এক সমীক্ষা করে। সেখানেই উঠে আসে এই তথ্য। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিতর্কিত ফোনালাপের পর ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবি জোরালো হওয়ার মধ্যেই এমন তথ্য উঠে আসায় আরও চাপে পড়লেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্পের কাছে চিন্তার বিষয় প্রকাশিত সমীক্ষার হিসেব
এদিকে সমীক্ষায় দেখা গেছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সমর্থকদের মধ্যে ৮২ শতাংশ ট্রাম্পের অভিশংসনের পক্ষে মত দিয়েছে। বিপরীতে ১৩ শতাংশ বলেছেন তাকে এই মুহূর্তে অপসারণ করা আমেরিকার জন্য ভালো হবে না। গত সপ্তাহে সিএনএন পরিচালিত এক সমীক্ষাতেও ঠিক একই রকম তথ্য উঠে এসেছিল। গতকালের এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১০০৩ জন। রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত টেলিফোনে এই লোকেদের উপর সমীক্ষা চালানো হয়।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিতর্কিত ফোনালাপ
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুলাই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময় প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার বাইডেনের সম্ভাব্য দুর্নীতি তদন্তে তাকে চাপ দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এরপরই মূলত ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবি জোরালো হয়ে ওঠে।

বিরোধীদের তোপের মুখে ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি দুর্নীতির অভিযোগে বহুদিন ধরেই সবর হয়েছিলেন বিরোধীরা। ইম্পিচমেন্টের দাবি তুলেছিলেন তাঁরা। ২০২০- প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পকে ইম্পিচমেন্ট করতে পারলে বড় ঘটনা ঘটবে আমেরিকার রাজনীতির ইতিহাসে।

সব অভিযোগ অস্বীকার ট্রাম্পের
যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিযোগ পুরোটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ফের তাঁর জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে দেখেই বিরোধীরা চক্রান্ত শুরু করেছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁর প্রতিপক্ষ জো বিডেনকে অপদস্থ করার জন্য ইউক্রেনের সাহায্য নিয়েছিলেন। জো বিডন ও তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেনেন ট্রাম্প। অবশ্য পুরোটাই পরিকল্পিত বলে অভিযোগ করছেন ট্রাম্প।