For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের চুক্তির বিষয়ে চারটি গভীর সংশয়

বাংলাদেশ আর মিয়ানমার রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রত্যাবাসনের জন্য একটি চুক্তি করেছে, যাতে প্রতি সপ্তাহে ১৫শ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবার কথা আছে। কিন্তু এ চুক্তি নিয়ে রয়েছে অন্তত চারটি গভীর সংশয় ।

  • By Bbc Bengali

বাংলাদেশ
Getty Images
বাংলাদেশ

বাংলাদেশ আর মিয়ানমারের সরকার রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রত্যাবাসনের জন্য এক চুক্তি করেছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক বিবিসিকে জানিয়েছেন, চুক্তি অনুযায়ী মিয়ানমার প্রতিদিন তিনশ করে প্রতি সপ্তাহে ১৫শ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে এবং দুই বছরের মধ্যে এই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শেষ করা হবে।

তবে কবে থেকে এই প্রত্যাবাসন শুরু হবে, সেটি এখনও নিশ্চিত নয়।

গত বছর ২৫শে আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক বাহিনীর এক অভিযান শুরুর পর থেকে থেকে এ পর্যন্ত ছয় লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

তাদের কাছে শোনা গেছে হত্যা, ধর্ষণ, ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ভয়াবহ সব বর্ণনা।

জাতিসংঘ একে এথনিক ক্লেনজিং বা জাতিগত নির্মূল অভিযানের একটি দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করেছে। মিয়ানমার অবশ্য তা অস্বীকার করেছে।

এর পর ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এই রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নেবার জন্য বাংলাদেশ-মিয়ানমার আলোচনা শুরু হয় নভেম্বর মাসে।

বাংলাদেশ মিয়ানমার রোহিঙ্গা
Getty Images
বাংলাদেশ মিয়ানমার রোহিঙ্গা

তবে এই চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে প্রধান সংশয় রয়েছে চারটি, বলছেন বিশ্লেষকরা।

চুক্তিতে কি আছে?

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেকে বলেছেন, চুক্তিতে কি আছে তা নিয়ে তারা তেমন কিছুই জানেন না।

বিবিসির সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, দু দেশই একমত হয়েছে যে এই প্রত্যাবাসন হবে স্বেচ্ছামূলক।

মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব উ মিন্ট থু বলেছেন, প্রত্যাবাসন শুরু হবে ২৩শে জানুয়ারি।

পরিস্থিতি কি নিরাপদ?

মানবাধিকার সংস্থা এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক লরা হাই বলছেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি রোহিঙ্গাদের ফিরে যাবার মতো নিরাপদ নয়।

বিবিসির সংবাদদাতা জোনাথন হেড বলেন, রোহিঙ্গারা বলছে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে, বাড়িঘর পুননির্মাণ হলে এবং নিপীড়ন বন্ধ হলেই তারা মিয়ানমারে ফিরবে। তবে তেমন অবস্থা এখনো তৈরি হয় নি।

ত্রাণ সংস্থাগুলোরও এ নিয়ে গভীর সংশয় রয়েছে।

ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ এবং মানবাধিকার কর্মী রোজেনা এলিন খান বলছেন, উপযুক্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো মানে তাদের মৃত্যুর মুখে আবার ঠেলে দেয়া।

বাংলাদেশ মিয়ানমার রোহিঙ্গা
BBC
বাংলাদেশ মিয়ানমার রোহিঙ্গা

রোহিঙ্গারা কি কখনো নাগরিকত্ব পাবে?

রোহিঙ্গা নেতা সিরাজুল মোস্তফা বলছেন, আমাদের প্রথম চাওয়া হলো নাগরিকত্ব।

এটা কি কখনো হবে?

বৌদ্ধ প্রধান মিয়ানমারের সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয় না, এবং তাদের ২০১৪ সালের জনগণনাতেও অন্তর্ভক্ত করা হয়নি। তাদেরকে আসলে মিয়ানমারের বাসিন্দা বলেই স্বীকার করা হয় না।

তাদের বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী বলে মনে করা হয়। নতুন চুক্তিতেও তাদের নাগরিকত্ব পাবার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

বাংলাদেশও তাদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না। শরণার্থী শিবিরে জন্মানো শিশুদের জন্মের সনদপত্র দেয়া হচ্ছে না।

বাংলাদেশ মিয়ানমার রোহিঙ্গা
Getty Images
বাংলাদেশ মিয়ানমার রোহিঙ্গা

রোহিঙ্গারা কি তাদের জমি ফেরত পাবে?

সিরাজুল মোস্তফার কথা, "তাদেরকে আমাদের জমি ফিরিয়ে দিতে হবে।"

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে কমপক্ষে ৩৫৪টি রোহিঙ্গা গ্রাম পুরো বা আংশিক পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

রোহিঙ্গারা কি এ জমি ফেরত পাবে, বা তারা কি প্রমাণ করতে পারবে যে এ জমি তাদের ছিল?

মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন চুক্তি তাদের আবাসনের কথা আছে, ফেরার পর তাদের নির্মাণাধীন ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হবে।

উ মিন্ট আরো বলেছেন , তারা 'নতুন গ্রাম' তৈরির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন। নতুন গ্রামের কথায় মনে হতে পারে যে রোহিঙ্গাদের পুরোনো জমি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি নেই।

English summary
4 points on rohingya issue
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X