৩৮৬ মিলিয়ন বছর পুরনো বিশ্বের প্রাচীন অরণ্যের সন্ধান পাওয়া গেল আমেরিকায়
৩৮৬ মিলিয়ন পুরনো বিশ্বের প্রাচীন অরণ্যের সন্ধান পাওয়া গেল আমেরিকায়
বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন অরণ্যের সন্ধান পেলেন কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। গতমাসে আমেরিকায় পরিত্যক্ত এক খাদান থেকে এই অরণ্যের জীবাশ্ম পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, নিউ ইয়র্কের কায়রোতে অবস্থিত ৩৮৬ মিলিয়ন বছর পুরনো এই অরণ্যটি বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো বলে পরিচিত গিলবোয়া অরণ্যের থেকেও ২–৩ মিলিয়ন পুরনো। গিলবোয়া অরণ্যটি নিউইয়র্ক এবং কায়রো থেকে ৪০ কিমি দূরে অবস্থিত।
বিংগহামটন
বিশ্ববিদ্যালয়ের
গবেষক
ও
নিই
ইয়র্ক
প্রদর্শনশালা
অনুযায়ী,
কায়রোর
জীবাশ্ম
অরণ্যটি
নিউইয়র্ক
থেকে
পুরো
পেনসিলভেনিয়া
এবং
তার
বাইরেও
ছড়ানো।
অরণ্যের
গাছগুলির
উচ্চতা
কম
করে
৬৫
ফুট
হতে
পারে
বলে
বিজ্ঞানীদের
অনুমান।
প্রায়
৩২
হাজার
বর্গফুট
এলাকা
জুড়ে
এমন
বিশাল
বৃক্ষের
অরণ্য
ছিল
বলে
মনে
করছেন
বিজ্ঞানীরা।
কেন বিশ্বের প্রাচীনতম অরণ্য উদ্ধার এত গুরুত্বপূর্ণ?
কারেন্ট বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত, অরণ্যের এই সন্ধান গাছের বিবর্তন এবং আমরা যে পৃথিবীতে বর্তমানে বাস করছি তার রূপদানের ক্ষেত্রে তারা যে ভূমিকা নিয়েছিল তাতে নতুন আলো দিয়েছে। এটি প্রমাণিত যে আমরা আজকের যে বনটিকে আধুনিক অরণ্য হিসাবে রূপান্তরিত করেছি তার অনেক আগেই শুরু হয়েছিল এই প্রাচীন অরণ্যটি।
কীভাবে প্রাচীনতম জীবাশ্ম অরণ্যটির ওপর গবেষণা চালানো হয়েছিল?
বিংহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়, নিউ ইয়র্ক স্টেট মিউজিয়াম ও ব্রিটেনের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই গবেষণাটি করেন। গবেষকরা হুডসন মালভূমির কাটস্কিল পাহাড়ের ৩ হাজার স্কোয়ার মিটারের মাটি ও ধুলোর স্তর খুব সাবধানে সরিয়ে ম্যাপিংয়ের কাজ শুরু করেন। বিধ্বংসী বন্যায় জঙ্গলের অধিকাংশ গাছ মরে গিয়েছিল, শিকড়গুলো জীবাশ্ম হিসেবে থেকে গিয়েছে। এমনকি বড় বড় গাছের কাছে মাছের জীবাশ্মও মিলেছে, দাবি গবেষকদের।
প্রাচীন ভারতের কিছু অজানা তথ্য
১) নিউইয়র্কের কায়রোতে ৩৮৬ মিলিয়ন পুরনো বিশ্বের প্রাচীন অরণ্যের সন্ধান মেলে।
২) এই অরণ্যটি নিউইয়র্ক থেকে পুরো পেনসিলভেনিয়া এবং তার বাইরেও ছড়ানো।
৩) গবেষকদের মতে, এই ফসিল অরণ্যটি মোটামুটি উন্মুক্ত অরণ্য, যার মধ্যে ছোট থেকে মাঝারি আকারের শেকড়যুক্ত গাছ ছিল। যার মধ্যে দিয়ে আরও ছোট ছোট গাছের জন্ম হয়েছিল।
৪) অরণ্যে কমপক্ষে দু'ধরনের গাছ ছিল।
৫) তৃতীয় ধরনের গাছ থাকলেও থাকতে পারে অরণ্যে, যদিও তার সন্ধান এখনও বিজ্ঞানীরা পায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে লাইকোপড জাতীয় গাছ অরণ্যে ছিল।
৬) গুটির পরিবর্তে বীজের মাধ্যমেই গাছে পুনরুৎপাদন করা হতো।
৭) বিংহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক এবং গবেষণাপত্রের মূল লেখক উইলিয়াম স্টেইন জানান, বিধ্বংসী বন্যায় জঙ্গলের অধিকাংশ গাছ মরে গিয়েছিল, শিকড়গুলো জীবাশ্ম হিসেবে থেকে গিয়েছে। এমনকি বড় বড় গাছের কাছে মাছের জীবাশ্মও মিলেছে।
৮) কার্ডিয়াফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিস্টোফার বেরির কথায়, প্রাচীনতম এই জঙ্গলের খোঁজ অরণ্যে ঢাকা পৃথিবী এবং অরণ্যহীন পৃথিবীর পার্থক্য বুঝিয়ে দেয়। এ পৃথিবীতে ডায়নোসররা যে সময় এসেছিল, তারও প্রায় ১৪ কোটি বছর আগের এই জঙ্গল
৯) বিজ্ঞানীদের ধারণা, বিপুল সবুজের উপস্থিতিতে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা অনেকটা কমে গিয়েছিল আর তাতেই পৃথিবীর তাপমাত্রা যায় কমে। এটাই বিপুল অরণ্য ধ্বংসের কারণ।