শতাব্দীর সব থেকে বেশি কফিন উদ্ধারের ঘটনা মিশরে, অক্ষত অবস্থায় মমি সমেত ৩০টি কফিন মিলল
মিশরের লাক্সর শহরে মমিসহ ৩০টি প্রাচীন কাঠের কফিন পাওয়া গেছে। গত এক শতাব্দীতে সব থেকে বেশি কফিন উদ্ধারের ঘটনা এটি। দেশটির প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এমন তথ্য দিয়েছে।
মিশরের লাক্সর শহরে মমিসহ ৩০টি প্রাচীন কাঠের কফিন উদ্ধার হয়েছে। গত এক শতাব্দীতে সব থেকে বেশি কফিন উদ্ধারের ঘটনা এটি। দেশটির প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এমন তথ্য দিয়েছে। বলা হয়েছে, লাক্সরের পশ্চিম প্রান্তে নীল নদের তীরে আল-আসাসিফ সমাধিক্ষেত্রে একসঙ্গে পাওয়া গেছে কাঠের রঙিন কফিনগুলি। সবকটি কফিনের মধ্যেই আছে নারী, পুরুষ ও শিশুদের মমি। এবং প্রত্নতাত্ত্বিকবিদরা জানাচ্ছেন, প্রতিটি মমি খুব ভালো সংরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। এখনও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে কফিনগুলো। এমন কি কফিনের গায়ে থাকা অলঙ্করণ ও নকশাগুলি বিন্দুমাত্র নষ্ট হয়নি।
কফিনগুলো তিন হাজার বছরের পুরোনো
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কফিনগুলো তিন হাজার বছরের পুরোনো। মিশরের প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক সুপ্রিম কাউন্সিলের প্রধান মোস্তফা ওয়াজিরি বলেছেন," মমিগুলো নারী, পুরুষ ধর্মগুরু এবং শিশুদের। কফিনের গায়ে উল্লিখিত তারিখ অনুযায়ী, তা ২২তম ফারাওনিক রাজবংশের। এই রাজবংশের সূচনা হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ১০ম শতাব্দীতে।"
এই বিষয়ে মিশরের প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক মন্ত্রী খালেদ এল-এনায় বলেন, "১৯ শতকের পর এত বিপুল সংখ্যক কফিন একসঙ্গে পাওয়ার এটাই প্রথম ঘটনা।"
কফিনের গায়ে এখনও রয়েছে হায়ারোগ্লিফিকসের নকশা
গত সপ্তাহে উদ্ধার হওয়া কফিনগুলি দুটি পৃথক স্তরে পাওয়া যায়। প্রথমে নজরে আসে একটি স্তর। সেটিতে মোট ১৮টি কফিন পাওয়া যায়। সেগুলি বের করার কাজ শুরু হতেই নজরে আসে নিচে থাকা অপর একটি স্তর। সেখানে দেখা যায় আরও ১২টি কফিন। কফিনগুলি থেকে মোট ২৩ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ, ৫ জন মহিলা ও দুটি শিশুর মমি খুঁজে পাওয়া যায়। মাটির মাত্র তিন ফুট গভীরে পাওয়া যায় এই কফিনগুলি। বহু বছরের পুরনো হলেও এখনও এসব কফিনে সাপ, পাখি, পদ্মফুল, হায়ারোগ্লিফিকসের কালো, সবুজ, লাল ও হলুদ রঙের ছবি পরিস্কার ভাবে দেখা যাচ্ছে।
গিজার পাশে তৈরি হওয়া নতুন জাদুঘরে ঠাঁই পাবে
মোস্তফা ওয়াজিরি জানান খুঁজে পাওয়া কফিনগুলি মিশরের নতুন গ্র্যান্ড জাদুঘরে রাখা হবে। প্রসঙ্গত, কায়রোর বিশ্ববিখ্যাত গিজা পিরামিডগুলির পাশে তৈরি হচ্ছে বিশাল এক জাদুঘর। গত এক দশকেরও বেশি সময় যাবত এই জাদুঘরের নির্মাণ কাজ চলছে। মিশরের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিষয়গুলি তুলে ধরা হবে বিশ্বের দরবারে।
বিনা প্ররোচনায় গোলাবর্ষণ ভারতীয় সেনার, অভিযোগ পাক সংবাদমাধ্যমের