বাংলাদেশের ঈদ জমায়েতে হামলার ঘটনায় ৩ জঙ্গি গ্রেফতার
ঢাকা, ৮ জুলাই : বাংলাদেশে কিশোরগঞ্জে ঈদ জমায়েতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই হামলার ঘটনায় ২ পুলিশকর্মী সহ ১ মহিলার মৃত্যু হয়েছে। ১৩ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই হামলার ঘটনায় পুলিশের গুলিতে এক জঙ্গিরও মৃত্যু হয়েছিল। [ নতুন ভিডিওতে বাংলাদেশে হামলার হুমকি দেওয়া তিন যুবকের পরিচয় কী? জেনে নিন]
উল্লেখ্য একদল জঙ্গি পুলিশের উপর ছুড়ি দিয়ে হামলা চালায়। এছাড়া ঈদের প্রার্থনা জানাতে যে দরগায় লক্ষ লক্ষ মানুষের জমায়েত হয়েছিল তার থেকে ১ কিলোমিটার দূরে একটি স্কুলে ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। [ বাংলাদেশ থেকে নিখোঁজ হাজারের বেশি যুবক? এদেরকেই জঙ্গি হামলায় কাজে লাগানো হচ্ছে না তো?]
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশ চেকপোস্টে জঙ্গিরা বোমা ছোঁড়ে। এই বিস্ফোরণে ১ পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়। এক জঙ্গি পুলিশের গুলিতে সেখানেই মারা যায়। এবং অন্য আর একজনকে গ্রেফতার করতে সফল হয় পুলিশ। [ ঈদের সকালে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বাংলাদেশ, মৃত ১ পুলিশকর্মী-সহ ৩]
বাংলাদেশের কিছু মিডিয়া রিপোর্টে বলা হচ্ছে কিশোরগঞ্জের প্রধান ইমামই টার্গেট ছিল জঙ্গিদের। ইসলামের নামে সন্ত্রাসবাদ চালানোর বিরুদ্ধে অনেকদিন ধরেই প্রচার শুরু করেছিলেন ইমাম। [ বাংলাদেশে পরপর জঙ্গি হামলার জেরে বন্ধ হল 'মৈত্রী এক্সপ্রেস']
এদিনের জঙ্গি হানার পরও দেশে কোনও আন্তর্জাতিক জিহাদি গোষ্ঠী নিজেদের ঘাঁটি করার জায়গা পেয়েছে বলে মানতে নারাজ। বাংলাদেশ সরকারের দাবি, দেশেরই নিষিদ্ধ হওয়া ইসলাম গোষ্ঠী এই ধরণের হিংসার ঘটনা ঘটাচ্ছে।