করোনা টিকা নিয়েই ২৩ জনের মৃত্যু! ফাইজারের 'ঝুঁকিপূর্ণ' ভ্যাকসিন ঘিরে বাড়ছে সংশয়
করোনা টিকার অপেক্ষায় গোটা একটা বছর কাটিয়ে দিয়েছে বিশ্ববাসী। তবে সেই করোনা টিকা এলেও যেন আস্বস্ত হতে পারছেন না কেউ। কয়েকদিন হয়েছে, বিশ্বের প্রায় বহু দেশেই শুরু হয়েছে আপৎকালীন টিকাকরণ প্রক্রিয়া। তবে এরই মাঝে এবার সংশয় বাড়ল ফাইজার ও বায়োএনটেকের তৈরি করোনা টিকা ঘিরে। অতিবৃদ্ধ ও মুমূর্ষু রোগীদের জন্য এ টিকাকে মারাত্মক ঝুঁকি হিসেবে দেখা হচ্ছে আপাতত।

ক্রমেই বারছে আশঙ্কা
জানা গিয়েছে যে মার্কিন টিকা প্রস্তুকারক সংস্থা ফাইজারের টিকা প্রয়োগ হচ্ছে নরওয়েতে। সেখানেই এই টিকা নেওয়ার পর মৃত্যু হয়েছে ২৩ জন মানুষের। নরওয়েতে টিকাকরণ শুরু হয়েছইল ২৭ ডিসেম্বর থেকেই। এরপর থেকে প্রথম ডোজ নেওয়ার পরই মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। যা ঘিরে চুঙ্গে জল্পনা। ক্রমেই বারছে আশঙ্কা।

মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
সেদেশের স্বাস্থ্য দফতর দাবি করছে যে প্রবীণদের জন্য ফাইজারের তৈরি করোনা টিকার সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। নরওয়ের দাবি, দূর্বল ও অসুস্থদের ক্ষেত্রে তুলনামূলক করোনার টিকার হালকা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও মারাত্মক পরিণতি ঘটাতে পারে। যদিও এখনই এই টিকা প্রয়োগ বন্ধ করছে না নরওয়ে।

আমেরিকাতেও ফাইজারের টিকা প্রয়োগ চলছে
এদিকে আমেরিকাতেও ফাইজারের টিকা প্রয়োগ চলছে। সেদেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর ১৪ থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে যে ১৯ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়, তাঁদের মধ্যে ১১ জনের মারাত্মক অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তাঁদের বেশিরভাগই স্বাস্থ্যকর্মী বা নার্স। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হার প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে ১১ দশমিক একজন।

নজরদারি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ
উল্লেখ্য, নরওয়েতে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ৭৩৭ জন। ইউরোপের ঠান্ডাপ্রধান দেশটিতে এ পর্যন্ত ৫১১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এই টিকা নিয়ে নরওয়েতে সংশয় তৈরি হয়েছে। এই আবহে ইউরোপীয়ান মেডিসিনস এজেন্সির প্রধান ইমার কুক বলেন, একবার গণহারে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার কাজটি হয়ে গেলে টিকাটির সুরক্ষার বিষয়টি নজরদারি করাটাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।