সূর্যগ্রহণ ২৬ ডিসেম্বর : কীভাবে ৫ টি 'মিথ' ভেঙেছেন বিজ্ঞানীরা
সূর্যগ্রহণ ঘিরে কৌতূহল যেমন সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে, তেমনই এই গ্রহণ ঘিরে বহু কাল থেকে একাধিক কাহিনি, গল্প প্রচলিত রয়েছে। প্রচলিত রয়েছে বহু 'বিশ্বাস'। রয়েছে কিছু কুসংস্কারও।
সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণকে ঘিরে বহুকাল থেকেই অনেক পৌরাণিক কাহিনিও প্রচলিত রয়েছে। শুধু ভারত নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রহণ ঘিরে রয়েছে একাধিক ধর্মীয় ও সংস্কৃতিগত 'বিশ্বাস'। আমেরিকা থেকে শুরু করে আফ্রিকা বিশ্বের সর্বত্রই সূর্যগ্রহণ নিয়ে রয়েছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কিভাবে বিজ্ঞানীরা এই প্রচলিত 'মিথ' গুলিকে খন্ডন করেছেন।
ক্ষতিকারক 'রশ্মি' ও বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা
বহুকাল ধরে প্রচলিত কথা রয়েছে যে সূর্যগ্রহণের সময় যে রশ্মি আসে, তা ক্ষতিকারক। মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে এই রশ্মি ক্ষতিকারক এমনটা সম্পূর্ণ সত্যি নয়।গ্রহণের সময় সূর্যের টচারপাশ থেকে যে রশ্মী আসে তার তীব্রতা অনেকটাই কম, যা খানিকটা সবুজাভ । এতে ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন আসে। নাসার বিজ্ঞানীদের দাবি, সেই রশ্মি কয়েক ১৫০ মিলিয়ন কিলোমিটার পথ পেরিয়ে , বায়ুমন্ডলের ভিতর দিয়ে আসতে গিয়ে নিজের তীব্রতা ও ক্ষতিকারক দিকটি হারিয়ে ফেলে। তবে খালি চোখে যেন কোনও মতেই সূর্যগ্রহণ দেখা না হয়, সেবিষয়ে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন নাসা-র বিজ্ঞানীরা।
গর্ভবতী মহিলা ও নাসা-র বক্তব্য গ্রহণ ঘিরে
গর্ভবর্তী মহিলারা যেন সূর্যগ্রহণের সময় ঘরে থাকেন, ও গ্রহণ না দেখেন, তা নিয়ে একটি প্রচলিত 'মিথ' রয়েছে। তবে নাসা-র বিজ্ঞানীরা বলছে ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক রশ্মি যা গ্রহণের সময় নির্গত হয়, তাতে গর্ভবতীদের ক্ষতির সম্ভাবনা কম।
খাবারে বিষক্রিয়া ও গ্রহণ 'তত্ত্ব'
কেরলের
চেরভাথুরের
বেশ
কয়েকজন
বিজ্ঞানীদের
দাবি,
গ্রহণের
সময়
যে
খাবার
খেতে
বারণ
করা
হয়
বিষক্রিয়ার
তত্ত্বের
জন্য
তা
সঠিক
নয়।
তাঁরা
জানাচ্ছেন,
গ্রহণের
সময়
খাবার
খেলে
কোনও
বিষক্রিয়া
খাবারে
হয়না।
কিছু খারাপ ঘটে যাওয়া ও বিজ্ঞানীদের তত্ত্ব
কিছু খারাপ ঘটে যেতে পারে গ্রহণের সময়, এমন দাবি অনেকেই করে থাকেন প্রচলিত কিছু কথা মেনে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এক্কেবারেই তা মানেন না। এটি কেবলই প্রচলিত কথা হিসাবে তাঁরা বিশ্বাস করেন।
দক্ষিণ ও উত্তর মেরুতে গ্রহণ পূর্ণগ্রাস হয়না
বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন না যে , উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যায় না। ২০১৫ সালের ২০ মার্চেই তা দেখা গিয়েছিল উত্তর মেরুতে। আর এটা কেবলমাত্র মেরুর ভৌগলিক অবস্থানের জন্যই ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণ মেরুতে তা শেষবার দেখা গিয়েছিল ২০০৩ সালের ২৩ নভেম্বর।
(কোনও ধরনের কুসংস্কারকে সমর্থন করেনা 'ওয়ানইন্ডিয়া বেঙ্গলি'। খালি চোখে গ্রহণ দেখা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। )