ইতিহাসের সবথেকে উষ্ণতম দশক হতে চলেছে ২০১০
ইতিহাসের সবথেকে উষ্ণতম দশক হতে চলেছে ২০১০
ইতিহাসের সবথেকে উষ্ণতম দশক হিসাবে বিবেচিত হতে চলেছে ২০১০। মঙ্গলবার একটি বাৎসরিক মূল্যায়নে জাতিসংঘ জানায় মাত্রাতিরিক্ত জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমানে মানুষের সহ্যসীমাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ফলস্বরূপ চলতি দশকই হতে চলেছে ইতিহাসের সবথেকে উষ্ণতম দশক।
পাশাপাশি স্পেনের মাদ্রিদে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সম্মেলনে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করতে দেখা যায় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আধিকারিকদের। তারা জানান এবছর বাড়তি ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২০১৯কে ইতিহাসে প্রথম তিনটি উষ্ণতম বছরের তালিকায় স্থান করে দিয়েছে।
অত্যধিক পরিমাণে জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বৃদ্ধি, শিল্পায়ন, নগরায়ন, ফসল বাড়ানো এবং পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলীয় কার্বন ডাই অক্সাইডের ঘনত্ব রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের পরিমাণও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফল স্বরূপ আরও তরান্বিত হচ্ছে বিশ্ব উষ্ণায়ণও।
গ্রিনহাউস গ্যাস দ্বারা উৎপাদিত অতিরিক্ত তাপের ৯০ শতাংশই মহাসাগরগুলি শোষণ করে নেয়। সূত্রের খবর অতিরিক্ত তাপমাত্রা শোষণের নিরিখে মহাসাগর গুলিও বর্তমানে সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। হিমবায় ক্ষয়ের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের জলস্তরের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অক্টোবর মাসেই সর্বোচ্চ হারে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়তে দেখা যায়। গত ১২ মাসে গ্রিনল্যান্ডের প্রায় ৩২৯০০ কোটি টন বরফ গলতে দেখা যায়।
একইসাথে এদিন স্পেনের মাদ্রিদে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার জেনারেল সেক্রেটারি পেত্তেরি তালাস এই প্রসঙ্গে বলেন, “২০১৯ সালে আবহাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলি মারাত্মকভাবে সামনে আসে। উষ্ণস্রোত এবং বন্যার মতো ঘটনা যা এক শতাব্দীতে একবার ঘটত তা বর্তামানে নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।” সেই সঙ্গে গত চার দশকের মধ্যে এই দশকেই সবথেকে উষ্ণতম বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
মণিপুর থেকে উদ্ধার ১৬৫ কোটি টাকার হেরোইন, পুলিশের জালে ধৃত দুই ভাই