রুশ হামলায় ধ্বংসস্তূপে ইউক্রেন , মিলল ২০০ পচাগলা মৃতদেহ
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের তিব্রতা অনেকখালি কমে গেলেও যুদ্ধ এখনও পুরোপুরি থেমে যায়নি। মাঝে মাঝেই হামলার খবর আসছে। কেউই কম যাচ্ছে না। দুই পক্ষই চালাচ্ছে হামলা। এর মাঝেই ২০০ টি মৃতদেহের খোঁজ মিলল মারিউপোলে।
মারিউপোলের একটি বিল্ডিংয়ের বেসমেন্টে ২০০টিরও বেশি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। শ্রমিকরা বিল্ডিংয়ের ধ্বংসস্তূপ খনন করতে গিয়ে এই দেহগুলি খুঁজে পান বলে জানা গিয়েছে। একজন কর্মকর্তা জানান, মৃতদেহগুলো পচে গিয়েছিল। যদিও তিনি এটা জানাননি ঠিক কোন সময়ে পাওয়া গিয়েছিল এই দেহগুলি। তবে এতগুলি দেহ এক জায়গায় স্পষ্ট করে যুদ্ধের ভয়ঙ্কর রূপকে।
এদিকে, মস্কোর বাহিনী পূর্বাঞ্চলীয় শিল্প অঞ্চল ডোনবাসে হামলা অব্যাহত রেখেছে। এই অঞ্চলটি তারা যে কোনও মুল্যে দখল করতে চায়। রাশিয়ান সৈন্যরা সিভিয়ারোডোনেটস্ক এবং পার্শ্ববর্তী শহরগুলি ঘেরাও এবং দখল করার জন্য তাদের প্রচেষ্টা জারি রেখেছে।
রুশ বাহিনী ইতিমধ্যেই মারিউপোল শহরের বাকি অংশ দখল করে রেখেছে, যেখানে আনুমানিক এক লক্ষ আটকা পড়ে রয়েছে। খাবার, জল, বিদ্যুৎ কিচ্ছু নেই। এই অবস্থায় তারা দিনের পর দিজ কাটাচ্ছে।ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের মতে, এমন ভাবে আটকা পড়ে কমপক্ষে ২১ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের রুশ সৈন্যরা গণ কবর খুঁড়ে মাটিতে পুঁতে দিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন।
মারিউপোল আক্রমণের সময়, রাশিয়ান বিমান হামলা একটি প্রসূতি হাসপাতাল এবং একটি থিয়েটারে হামলা করে যেখানে সাধারণ মানুষ যুদ্ধ থেকে প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নিচ্ছিল। তদন্তে দেখা গিয়েছে যে থিয়েটার হামলায় প্রায় ৬০০ জন মারা গিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের অনুমান করছে এই সংখ্যা দ্বিগুণ।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো এবং তার দেশে সমস্ত মৃত্যু ও ধ্বংসের জন্য অভিযুক্ত করেছেন। জেলেনস্কি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, "প্রকৃতপক্ষে, ইউরোপ মহাদেশে গত ৭৭ বছর ধরে আর এমন একটাও যুদ্ধ হয়নি।"