করোনা টিকার সফল প্রয়োগের আগেই ২০ লক্ষ মৃত্যু? আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ইতিমধ্যেই শনিবার পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯ লক্ষের গণ্ডি পার করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫, ৬৯৮ জন। উল্টোদিকে নতুন করে করোনার প্রকোপ বাড়ছে আমেরিকা, ইংল্যান্ডের মতো দেশগুলিতেও। এরই মাঝে এবার নতুন করে উদ্বেগের কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
টিকার সফল প্রয়োগের আগেই ২০ লক্ষ মৃত্যু গোটা বিশ্বে
এদিকে ২৬শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গোটা বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ২৮ লক্ষের বেশি মানুষ। মৃতের সংখ্যা পার করেছে ১০ লক্ষের গণ্ডি। এদিকে প্রায় ১৮০ করোনা ভ্যাকসিনের উপর বিশ্বব্যাপী কাজ চললেও দেখা নেই কোনও কার্যকরী টিকার। এমতাবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-র আশঙ্কা বিশ্বব্যাপী করোনা টিকার সফল প্রয়োগ শুরু হতে হতে ২০ লক্ষের সীমারেখাও পার করছে করোনায় মৃতের সংখ্যা।
কি বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?
শুক্রবার এই নতুন করে আশঙ্কা প্রকাশ করতে দেখা যায় রাষ্ট্রপুঞ্জের জরুরী কর্মসমিতির সদস্য তথা হু-র এই উচ্চপদস্থ আধিকারিক মাইক রায়ানকে। এদিকে চিনে প্রথম করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর কেটে গেছে প্রায় ৯ মাসেরও বেশি সময়। কিন্তু হাজারও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েও এখনও কোনও কার্যকরী ভ্যাকসিনের খোঁজ দিতে পারেনি বিজ্ঞানীরা। যদিও এই পথে আশা যোগাচ্চে রাশিয়া, আমেরিকা, ভারত ও ইংল্যান্ডের বেশ কিছু করোনা টিকা।
যুব সমাজই কি তবে করোনার প্রধান বাহক?
পাশাপাশি বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনা প্রাদুর্ভাবের জন্য অনেকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন যুবসমাজকে। অভিযোগ তুরুণদের মাধ্যমেই এখনও একাধিক দেশে সর্বাধিক করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়াচ্ছে। তাদের ঢাল করেই বয়ষ্কদের শরীরের বাসা বাঁধছে এই মারণ ভাইরাস। যদিও এই মতামতেরও বিরুদ্ধাচারণ করতে দেখা যায় মাইককে। তার স্পষ্ট বক্তব্য অনেক দেশেই লকডাউন উঠে যাওয়ায় পেশার তাগিদেই কর্মক্ষেত্রে ফিরছেন যুবক-যুবতীরা। এর পাঁচটা ঘটনার মতোই স্বাভাবিক। তার করোনা প্রাদুর্ভাবের বাড়বাড়ন্তের জন্য কখনওই তাদের কাঠগড়ায় তোলা উচিত নয়।
কেমন আছে বিশ্বের অন্যান্য দেশ?
এদিকে এদিন আমেরিকাতেও ফের দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু দুই বাড়তে দেখা যায়। তবে উল্টো চিত্র দেখা যায় ব্রাজিলে। সেখানে ক্রমেই বাড়ছে সুস্থতার হার। এদিকে বিশ্বের অষ্টম দেশ হিসাবে ৭ লক্ষ করোনা আক্রান্তের সীমারেখা পার করেছে স্পেন। যদিও ভারতে মৃত্যুহার কমে বর্তমানে ১.৫৮ শতাংসে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
{quiz_369}