করোনা সংক্রমণে মৃত্যু নিয়ে পুরো তথ্য প্রকাশ করেনি আমেরিকাও!
আমেরিকায় প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর সরকারি ভাবে প্রকাশ হওয়ার দুই দিন আগেই সেদেশে দুই জন মারা গিয়েছিল। এমনই তথ্য প্রকাশ করে চাঞ্চল্য ফএলে দিলেন ডঃ সারা কোডি। তিনি নর্থ ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা ক্লারা কাউন্টির হেল্থ ডিরেক্টর।
করোনা ভাইরাসে বিদ্ধস্ত আমেরিকা
করোনা ভাইরাসে বিদ্ধস্ত আমেরিকা। বর্তমানে সেদেশে কারো জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। ভয়াবহ ঝুঁকিতে গোটা দেশের জনগণ। অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তির শীর্ষে অবস্থান করেও করোনা যুদ্ধে পর্যুদস্ত আমেরিকা। আর আমেরিকার এই পরিস্থিতির জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যর্থতা কোনও ভাবেই অস্বীকার করা যায় না।
চিনের উহানে প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ২০১৯ সালের শেষে
চিনের উহানে প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ২০১৯ সালের নভেম্বরের মাঝামাঝি। জানুয়ারি মাসের মধ্যেই বিশ্বের ২১টি দেশে করোনায় আক্রান্ত হয় সহস্রাধিক মানুষ। এ সময়ে বারকয়েক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আছে দাবি করেন। অথচ এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনার রোগী শনাক্ত হয় গত ২০ জানুয়ারি
যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনার রোগী শনাক্ত হয় গত ২০ জানুয়ারি ওয়াশিংটন রাজ্যের সিয়াটলের শহরতলীতে। ৫৪ বছরের সেই ব্যাক্তি ১ মার্চ মারা যান সিয়াটলে। এরপরই টনক নড়ে হোয়াইট হাউজ প্রশাসনের। নড়েচড়ে বসেন সবাই। সিডিসিকে ৩ মার্চ অনুমতি দেয়া হয় করোনা টেস্টের। এ সময়ে বিভিন্ন দেশে আক্রান্ত হয় ৮৭ হাজার মানুষ।
আমেরিকায় প্রথম মৃত্যু
তবে ১ মার্চ প্রথম করোনা মৃত্যুর দুই দিন আগেই ক্যালিফোর্নিয়ায় দুই ব্যক্তি করোনায় মারা যায়। তাদের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর জানা যায় যে তাদের শরীরে করোনা সংক্রমণ ছিল। তবে সেই খবর প্রকাশ পেল বুধবার। ঘটনার দেড় মাসেরও পরে।
আমেরিকার আরও ২৬টি রণতরীতে করোনা
এদিকে আমেরিকায় আরও ২৬টি রণতরীতে করোনার থাবা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। মার্কিন নৌবাহিনীর এক উচ্চপদস্থ আধারিক এই বিষয়ে সেদেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে যে বর্তমানে ২৬টি এমন যুদ্ধজাহাজ রয়েছে যাতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বাহিনীর সদস্যরা। তবে আক্রান্তদের নাম প্রকাশ করতে চাননি সেই আধিকারিক। এমন কী আক্রান্ত জাহাজগুলির নামও প্রকাশ করা হয়নি।
সবচেয়ে বেশি খারাপ পরিস্থিতি ট্রাম্পের দেশে
করোনার যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি খারাপ পরিস্থিতি পার করেছে, এই বার্তা ট্রাম্প দেওয়ার পরেও আমেরিকায় লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই সেদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ পার করে গিয়েছে।