ইস্কন মন্দির সংলগ্ন পুকুর থেকে উদ্ধার আরও দুই দেহ, সংখ্যালঘু আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ভারতকে সতর্ক করলেন হাসিনা
বাংলাদেশে নতুন করে হিংসার ঘটনা। আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে প্রশ্নের মুখে হাসিনা সরকার। নোয়াখালিতে ইস্কন মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। আর এই ঘটনার পরেই দুই যুবকের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। নোয়াখালির
বাংলাদেশে নতুন করে হিংসার ঘটনা। আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে প্রশ্নের মুখে হাসিনা সরকার। নোয়াখালিতে ইস্কন মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। আর এই ঘটনার পরেই দুই যুবকের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। নোয়াখালির বেগুমগঞ্জ এলাকা থেকে হিন্দু দুই ভক্তের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মৃত দুই যুবকের মধ্যে একজন প্রান্তচন্দ্র দাস বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও একজনের পরিচয় জানা যায়নি। তবে প্রান্তচন্দ্র গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিল বলে জানা যায়। শনিবার সকালে মন্দিরের কাছেই একটি পুকুর থেকে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও পজন্ত বাংলাদেশে হিংসার ঘটনাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল তিন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বাংলাদেশের নোয়াখালীর ইসকন মন্দির সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি মন্দিরে হামলায় চারজন নিহত এবং ৩০জন আহত হয়েছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
সে দেশের বেশ কয়েকটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি জায়গাতে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল এবং প্রতিমা ভাঙচুর করার করার খবর প্রকাশিত হয়েছে৷ বাংলাদেশের হিন্দু নেতারা ঘোষণা করেছেন যে পুলিশের উপস্থিতিতে জেএম সেন হলের পূজা ভাঙচুরের প্রতিবাদে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন করবে না।
পাশাপাশি ওই ঘটনায় একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে অপসারণেরও দাবি জানিয়েছেন হিন্দু নেতারা। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল বাংলাদেশ। প্রতিবেশি বাংলাদেশ তো বটেই, ভারতেও রীতিমত সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল সেই ছবি। ঘটনার পর থেকেই সর্বস্তড়ে চলছে প্রতিবাদ।
বাংলাদেশে ইতিমধ্যে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে সংখ্যালঘু বিভিন্ন সংগঠন। এভাবে ইস্কনের আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসতেই চরম অস্বস্তিতে সরকার। ইতিমধ্যে রাষ্ট্রসংঘে অভিযোগ জানানো হয়েছে ইস্কনের তরফে। যদিও এই ঘটনাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড়া হবে না। ঘটনায় দোষীদের খুঁজে বের করা হবে এবং যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। তবে এই বিষয়ে ভারতকেও সতর্ক করেছেন হাসিনা। তিনি বলেছেন, ভারতকেও সচেতন থাকতে হবে।
তাঁর মতে, "সেখানেও (ভারতে) এমন কিছু যেন না করা হয়-যার প্রভাব আমাদের দেশে এসে পড়ে। আর আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত আসে,'' চাঞ্চল্যকর মন্তব্য। যদিও এই ঘটনার পরেই বাংলাদেশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনাতে বাংলাদেশ কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে।