করোনা সংক্রমণের জেরে ১.৬ কোটি মানুষ চাকরি হারিয়েছে আমেরিকায়!
করোনা ভাইরাস রুখতে বিশ্বজুড়ে লকডাউন পরিস্থিতিতে। থমকে রয়েছে অর্থনীতি। যারা বাড়িতে বসে কাজ করতে পারছেন তারা করছেন, না হলে কর্মহীন ভাবে দিন কাটছে কয়েক কোটি মানুষের। এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতি যে ধসে যাবে তা প্রায় একপ্রকার নিশ্চিত। আর এই ধসের জেরে বিশ্বে চাকরির অভাবও দেখা দিতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।
মৃত্যু মিছিল আমেরিকায়
এদিকে মৃত্যু মিছিল কোনো ভাবেই থামছে না আমেরিকায়। ভয়ঙ্কর করোনা ভাইরাসে প্রবল ভাবে বিধ্বস্ত মার্কিন মুলুক। পরপর টানা দুদিন আমেরিকায় প্রায় ২০০০ ছুঁল মৃতের সংখ্যা। এর জেরে স্পেনকে ছাপিয়ে করোনা থাবায় মৃত্যুর নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে আমেরিকা। সেদেশের যা পরিস্থিতি, তাতে আর কয়েকদিনে ইতালিকেও ছাপিয়ে যেতে পারে ট্রাম্পের দেশ।
১৬ হাজারের বেশি মারা গিয়েছে আমেরিকায়
করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ হাজার ৬৯৭-তে দাঁড়াল সেদেশে। এছাড়া স্পেনকে ছাপিয়ে করোনা থাবায় মৃত্যুর নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে আমেরিকা। স্পেনে সংখ্যাটা ১৫,৪৪৭ জন। অন্যদিকে ইতালিতে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮,২৭৯।
করোনার জেরে ১.৬ কোটি মানুষের চাকরি গিয়েছে
এই পরিস্থিতিতে আমেরিকাতে গত এক সপ্তাহে চাকরি হারিয়েছেন ৬৬ লক্ষ মানুষ। করোনা সংক্রমণ সেদেশে দেখা দেওয়ার পর থেকে সেই সংখ্যাটা ১ কোটি ৬০ লক্ষ। এরা সবাই আমেরিকায় বেকারত্ব ভাতার জন্য আবেদন জানিয়েছে। ১৯৪৮ সালের পর এত বাজে অবস্থা কখনও হয়নি আমেরিকাতে।
কী কারণে চাকরি হারাচ্ছে সবাই?
ব্যবসার অস্তিত্বই লাভ করার জন্য। উৎপাদন না হলে, বিক্রি হবে না। মানে, লাভ হবে না। যার মানে, কর্মী নিয়োগ হবে না। ব্যবসাগুলো স্বল্প সময়ের জন্য অনাবশ্যক কর্মীদের ধরে রাখে, এই আশায় যে, পরিস্থিতি ফিরে আসলে যাতে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা যায়। কিন্তু পরিস্থিতি বেশি খারাপের দিকে এগোতে থাকলে তারা আর কর্মীদের ধরে রাখবে না।
সারা বিশ্বেই নামতে চলেছে দুর্যোগ
এই পরিস্থিতিতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। বিশ্বে বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে আসবে। ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়ায় ১.৫ শতাংশে। ইন্টারন্যাশনাল মুদ্রা তহবিল অর্থাৎ আইএমএফ সম্প্রতি জানিয়েছে, করোনভাইরাসের জেরে বিশ্ব-মন্দা তৈরি হয়েছে।