ইরানের একটি ধর্মস্থানে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি তিন বন্দুকবাজের, মৃত ১৫
ইরানের শিরাজ শহরে বন্দুকবাজের হামলা। সেখানে একটি শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মস্থানে ঢুকে তিন বন্দুকবাজ এলোপাথাড়ি গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
ইরানের শিরাজ শহরে বন্দুকবাজের হামলা। সেখানে একটি শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মস্থানে ঢুকে তিন বন্দুকবাজ এলোপাথাড়ি গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনার মুহূর্তে আতঙ্কে একেবারে ছোটাছুটি শুরু করে দেন সাধারণ মানুষ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
শুধু তাই নয়, ঘটনায় আহত একাধিক মানুষ। তাঁদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারতে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে ঘটনার পরেই বিশাল পুলিশ বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে। জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। ভয়াবহ এই ঘটনাকে জঙ্গি হামলা হিসাবেই দেখা হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, স্থানীয় সময় পাঁচটা ৪৫ মিনিটে এই ঘটনা ঘটেছে। শিরাজ শহরের একটি মসজিদে এই ঘটনা ঘটেছে।
আর যে সময় এই ঘটনা ঘটেছে সেই সময় ওই মসজিদে একাধিক শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ প্রার্থনা জানাচ্ছিলেন বলে দাবি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের। হঠাত করেই গোটা মসজিদ ঘিরে ফেলে তিন বন্দুকবাজ। এবং এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। যদিও ঘটনার পর এলাকা ছাড়তে পারেনি দুই বন্দুকবাজ।
ইতিমধ্যে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন তাঁদের ধরে ফেলেছে। যদিও আরও এক বিন্দুকবাজের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। তবে পুলিশ জানাচ্ছে, ঘটনায় ধৃত দুই বন্দুকবাজ ইরানের মানুষ নন। তবে তাঁরা কোন দেশের তদন্তের স্বার্থে তা এখনই খুলে বলতে চাননি সে দেশের তদন্তকারী আধিকারিকরা। ফলে ক্রমশ জঙ্গি নাশকতার বিষয়টিই স্পষ্ট হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে একটা সুত্র বলছে দেশের সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমশ আওয়াজ উঠছে। গত ১৬ তারিখ ইরান পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন মাসা আমিনি বলে এক মহিলার মৃত্যু হয়। আর এরপরেই সে দেশে সরকার বিরোধী আন্দোলন ক্রমশ জোরদার হয়। আর সেই সুত্র ধরেই এই হামলা বলে জানাচ্ছে অপর একটি সুত্র।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। গোটা দেশেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বলে রাখা প্রয়োজন, হিজাব না থাকার কারণে মাসাকে গ্রেফতার করে সে দেশের পুলিশ। আর এরপরেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের অভিযোগ, মাসাকে অত্যাচার করে খুন করা হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। আর এর মধ্যেই হিজাব নিয়ে গোটা দেশে আন্দোলনে নামেন মহিলারা। তৈরি হয় গণ আন্দোলন। এই ঘটনার সঙ্গে এই হামলার যোগ আছে কিনা সেটাও খতিওয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর।