বয়স অনেক বেশি তাই জোহরা সেহগলকে ফ্ল্যাট নয়, জানাল কেন্দ্রীয় সরকার
কিন্তু পদ্মশ্রী,পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ,সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমির মতো একাধিক পুরস্কারে সম্মানিত বর্ষীয়াণ এই অভিনেত্রীর আর্জি খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক ব্যাখ্যা বাড়ি পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু বিধি তাঁর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হচ্ছে না। সে কারণে তাঁকে এক তলায় বাড়ির ব্যবস্থা করা যাবে না।
শিল্পী কোটায় বাসস্থান পাওয়ার জন্য বয়স সীমা ৪০ থেকে ৬০ হওয়া উচিত
জোহরা সেহগলের মেয়ে কিরণ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাখ্যা, শিল্পী কোটায় বাসস্থান পাওয়ার জন্য বয়স সীমা ৪০ থেকে ৬০ হওয়া উচিত, জোহরাদেবী সে বিধিতে প্রযোজ্য নয়। আরও একটি বিধির প্রসঙ্গ তুলেছে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। তাদের মতে বাড়ি পেতে গেলে শিল্পীর মাসিক আয় ২০ হাজার টাকার কম হতে হবে এবং জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে নিজস্ব কোনও বাড়ি থাকা চলবে না। একমাত্র ক্যাবিনেটই এক্ষেত্রে বাসস্থানের জন্য অনুমোদন দিতে পারে।
কিরণের আক্ষেপ, একতলায় একটি বাড়ি কেনার জন্য যে পরিমাণ অর্থ লাগবে তা আমাদের কাছে নেই। তাই আমরা ভেবেছিলাম মা এতদিন মানুষকে বিনোদন দিয়েছেন, সরকার নিশ্চই সাহায্য করবে। কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্ত বর্ষীয়াণ অভিনেত্রীর পক্ষে অপমানজনক বলে মনে করছেন কিরণ। বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা উচিত বলে দাবী তাঁর।
যদিও এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে মুখ খুলতে না চাইলেও জোহরা সেহগল জানিয়েছেন, বাড়ি পেলে ভাল, না পেলেও আমার কিছু যায় আসে না, কোনওদিন কারও কাছে মাথা নোয়াইনি, আজও নোয়াবে না। তবে কিছুটা আক্ষেপের সুরেই বললেন, ধনিরা ধনিদেরই সাহায্য করে. গরীবের জন্য কেউ থাকে না।