কৃষক আন্দোলনের পিছনে খালিস্তানি মদত! অবিলম্বে জি নিউজকে তিনটি ভিডিও মুছে ফেলার নির্দেশ
তথ্য এবং সম্প্রচার আইন ভাঙার দায়ে তিনটি ভিডিও ডিলিট করতে হল জি নিউজকে। নিউজ ব্রডকাস্টিং এন্ড ডিজিটাল স্টেডার্ড অথরিটি একটি অভিযোগ দায়ের করেছিল জি নিউজের বিরুদ্ধে। চলতি বছরের ১৯ এবং ২০ এবং ২৬ জানুয়ারি ওই ভিডিওগুলি সম্প্রচ
তথ্য এবং সম্প্রচার আইন ভাঙার দায়ে তিনটি ভিডিও ডিলিট করতে হল জি নিউজকে। নিউজ ব্রডকাস্টিং এন্ড ডিজিটাল স্টেডার্ড অথরিটি একটি অভিযোগ দায়ের করেছিল জি নিউজের বিরুদ্ধে। চলতি বছরের ১৯ এবং ২০ এবং ২৬ জানুয়ারি ওই ভিডিওগুলি সম্প্রচার করেছিল ওই সংবাদমাধ্যম।
কৃষি আন্দোলন সংক্রান্ত ওই ভিডিওগুলি কোড ভায়োলেশনের মধ্যে পড়ে যায়। এই অভিযোগ করেই ইঞ্জিনিয়ার তথা এলজিবিটি অ্যাক্টিভিস্ট ইন্দ্রজিৎ ঘোরপারে এই সংক্রান্ত অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এনবিডিএসএ এই ভিডিওগুলি তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয়।
২৫ জানুয়ারি একটি অনুষ্ঠান হয় কৃষি আন্দোলন সংক্রান্ত। ওই অনুষ্ঠানের শিরনাম ছিল খালিস্তান সে কাব সাবধান হোগা কিষাণ। অভিযোগ ওই অনুষ্ঠানগুলিতে এমন কিছু ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হয়নি ঠিক ভাবে। আর তা না দেখেই বিতর্কিত ওই ভিডিওগুলি ব্যবহার করা হয়।
হেডলাইনে এবং টিকারে ওয়ার কিংবা যুদ্ধ কথাটির ব্যবহার নিয়েও অভিযোগ করেন ওই অভিযোগকারী। ওই অনুষ্ঠানে বলা হয়েছিল সিদ্ধু সীমান্তে আন্দোলন করছে খালিস্তানিপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এই বক্তব্যেরও কোনও ভিত্তি নেই বলেই উল্লেখ করেন ওই ব্যক্তি।
এই ধরনের অনুষ্ঠান দর্শকদের মধ্যে দেশের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিতে পারে। অভিযোগে এটাই উল্লেখ করা হয়েছে। ২৯ জানুয়ারি অন্য একটি অনুষ্ঠানে সঞ্চালক বার বার বলেছেন লালকেল্লাতে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে জাতীয় পতাকা ছুড়ে ফেলে দিয়ে খালসা পতাকা ওড়ানো হয়েছে। কিন্তু অভিযোগকারী ওই ব্যক্তির দাবি, ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে যে পতাকা ছুড়ে ফেলা হয়েছে তা আসলে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের পতাকা। যদিও সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছে জি নিউজ। অপ-ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের দাবি, প্রথম অনুষ্ঠানে কৃষক আন্দোলনের সংে খালিস্তানি যোগ নিয়ে বিতর্কসভা ছিল। পরের দিকে লালকেল্লা থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল একটি অনুষ্ঠান। জি নিউজ আরও দাবি করেছে যে, কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে খালিস্তানি যোগের যথেষ্ট প্রমান রয়েছে তাঁদের কাছে। জি নিউজের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে যে, মানুষের মধ্যে কোনও ভয় তৈরি করার জন্যে এই অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়নি। জি নিউজ সবসময়ে দাবি করেছে যে, কৃষকেরাই আসল দেশভক্ত এবং অন্নদাতা।
অন্যদিকে কৃষি আইন বাতিলের প্রক্রিয়া নিয়ে আর দেরি করতে চায় না মোদী সরকার। আগামিকাল অর্থাৎ বুধবারই বসছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেই বৈঠকেই কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। শীতকালীন অধিবেশনে কৃষি আইন বাতিলের আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার।