সুশান্ত কাণ্ডে মাদক যোগে ধৃত জায়েদ বিলাট্রিকে সাতদিনের হেফাজত দিল আদালত
সুশান্ত কাণ্ডে মাদক যোগে ধৃত জায়েদ বিলাট্রিকে সাতদিনের হেফাজত দিল আদালত
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্তে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো মাদক যোগে প্রথম গ্রেফতার করল। এনসিবির হাতে ধৃত জায়েদ বিলাট্রিকে বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হলে তার সাতদিনের এনসিবি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। মুম্বইয়ের এনসিবি ইউনিট রিমান্ড কপিতে জানিয়েছেন যে জায়েদ বহু মাদক চুক্তির সঙ্গে জড়িত। তাই তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার।
এছাড়াও এনসিবি জানিয়েছে যে মাদক চক্রের মূল পাণ্ডাকে ধরতে জায়েদের হেফাজত খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি। রিমান্ড কপিতে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, 'সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় এনসিবি মাদক দিকটির তদন্ত করছে। অতএব মুম্বইতে বিশেষ করে বলিউডে কীভাবে মাদক যোগ জড়িয়ে যাচ্ছে তা তদন্ত করার জন্য জায়েদের হেফাজত খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ও জরুরি।’
সরকারি আইনজীবী এনডিপিএসের ২৭ (এ) ও ২৯ ধারা উল্লেখ করে জানান যে ধৃত জায়েদ মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। বিলাট্রির আইনজীবী তারক সইদ এই রিমান্ডের বিরোধীতা করে জানিয়েছেন যে তাঁর মক্কেলের বাড়ি থেকে শুধু নগদ উদ্ধার হয়েছে, যা জামিনযোগ্য অপরাধ। আদালত ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে জায়েদকে। এনসিবি জায়েদের বাড়ি তল্লাশি করে নগদ ৯,৫৫,৭৫০ টাকা পেয়েছে। এছাড়াও ২০৮১ মার্কিন ডলার, ১৮০ ইউকে পাউন্ড ও ১৫ ইউএই দিরহাম। জায়েদের বিবৃতি অনুযায়ী, সে স্বীকার করেছে যে বাজেয়াপ্ত হওয়া অর্থ মাদক বিক্রির টাকা এবং সে আরও মারিজুয়ানা/গাঁজা/বাড সাইকোট্রপিক সরবরাহ করেছে বেশ কিছুজনকে। সে অনেকের ব্যক্তিগত তথ্য কয়েকজনের নামও বলেছে।
এনসিবি জানিয়েছে যে রিমান্ড কপিতে কোথাও রিয়া চক্রবর্তীর নাম উল্লেখ ছিল না। এখনও তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে আছে, তারা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
মুম্বই 'যেন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর'! সুশান্ত মামলার মাঝেই বিস্ফোরক কঙ্গনা