কংগ্রেসে নেতৃত্বের অভাব, বিজেপি নেতাকেই মহাসচিব বানিয়ে দিল গান্ধীদের দল!
মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসে বেহাল দশা কংগ্রেসের। এতটাই যে, কে দলে আর কে দল বদল করে বিজেপি চলে গিয়েছে, তাও জানা নেই হাত শিবিরের। আর এরই জেরে এবার বিজেপি নেতাকেই দলের মহাসচিব বানিয়ে দিল কংগ্রেস। পরবর্তীতে জানা যায়, কংগ্রেসে নতুন পদ পাওয়া নেতা ৮ মাস আগেই বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন।
সিন্ধিয়ার সঙ্গে ৮ মাস আগেই দল ছেড়েছিলেন হর্ষিত
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে ৮ মাস আগেই দল ছেড়েছিলেন হর্ষিত সিঙ্ঘই। তবে কংগ্রেসের যুব সংগঠনের পদাধিকারীদের নির্বাচনে সেই হর্ষিতকেই মহাসচিব পদে নির্বাচিত করে দলের সদস্যরা। এই নির্বাচন এবার অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই জবলপুরের নেতা হর্ষিত যুব কংগ্রেসের মহাসচিব নির্বাচিত হন বিজেপিতে থাকা সত্ত্বেও।
উপনির্বাচনে বিজেপির জয়জয়কার
কয়েকদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয় মধ্যপ্রদেশের উপনির্বাচন। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার জন্যে এটি ছিল প্রেস্টিজ ফাইট। সেই পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হন। পাশাপাশি কুর্সি ধরে রাখেন শিবরাজ সিং চৌহান। মধ্যপ্রদেশে ২৮টি আসনে উপনির্বাচনে ১৯টিতেই জয় পেল তারা। কংগ্রেস পেয়েছে ৯টি আসন।
কমল নাথের সরকারের পতন
উল্লেখ্য, ক্ষমতা ধরে রাখতে বিজেপির প্রয়োজন ছিল ৮টি আসন। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১০ মার্চ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর রাজনৈতিক মহলে সিন্ধিয়া-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আরও ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফাপত্র জমা দেন৷ এর জেরে ১৫ মাসের মধ্যেই সংকটের মুখে পড়ে কমল নাথের সরকার। পরে উপনির্বাচনেপ পরীক্ষায় পাশ করে ফের মসনদে বসার বিষয়টি সুনিশ্চিত করেন শিবরাজ।
সাংগঠনিক ভোলবদল কংগ্রেসের
এদিকে তেলাঙ্গানা, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র - চারটি রাজ্যের বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পরই সেখানকার শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তন করতে চলেছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তেলাঙ্গানার কংগ্রেস সভাপতি উত্তমকুমার রেড্ডি হায়দরাবাদ পৌর নির্বাচনে খারাপ ফলের দায়ভার নিয়ে পদত্যাগ করেছেন। ভোলবদল হবে মহারাষ্ট্র এবং গুজরাত কংগ্রেসেও।