মোদী সরকারের বলিষ্ঠ পদপেক্ষ! ভারত জুড়ে বাড়তে চলছে শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন
হাতে পাওয়া বেতনের পরিমাণ বাড়তে চলেছে। সব সংস্থার ক্ষেত্রেই এই কথা প্রযোজ্য হতে চলেছে শ্রম মন্ত্রকের এক সম্ভাব্য সিদ্ধান্তের জেরে।
হাতে পাওয়া বেতনের পরিমাণ বাড়তে চলেছে। সব সংস্থার ক্ষেত্রেই এই কথা প্রযোজ্য হতে চলেছে শ্রম মন্ত্রকের এক সম্ভাব্য সিদ্ধান্তের জেরে।
শ্রমিক কর্মচারীদের সর্বজনীন সামাজিক সুরক্ষায় সরকারি তরফের অবদান যাতে কম হয় তারই সুপারিশ করতে চলেছে শ্রমমন্ত্রকের কমিটি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রভিডেন্ট ফান্ডের মতো সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে সরকারি অবদানের পরিমাণ ২ শতাংশের মতো কমানো হতে পারে।
বর্তমান নিয়মে, কোনও শ্রমিক কর্মচারীর বেতন থেকে ২৪ শতাংশ টাকা কাটা হয় প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টের জন্য। যার পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন। এই ২৪ শতাংশের মধ্যে ১২ শতাংশ দেয় নিয়োগকর্তা, আর ১২ শতাংশ দেন শ্রমিক কর্মচারীরা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, কমিটি অগাস্টের শেষের দিকে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে পারে। এর উদ্দেশ্যও ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বর্তমানে এই সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন ১০ কোটি শ্রমিক কর্মচারী। এই সংখ্যাটা ৫০ কোটিতে নিয়ে যেতে চায় শ্রমমন্ত্রক।
কমিটি তাদের চূড়ান্ত প্রস্তাব দিলে, শ্রম মন্ত্রকের তরফে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
সাধারণত, নিয়োগকর্তা যে টাকা দেন তা শ্রমিক কর্মচারীদের সিটিসি-তেই অন্তর্ভুক্ত থাকে। যদি পিএফ-এ সরকারি অবদানের পরিমাণ কমানো হয়, তাহলে এখাত থেকে পাওয়া বাড়তি ৪ টাকা শতাংশ শ্রমিক কর্মচারীদের বেতনের অন্তর্ভুক্ত হবে।
এ-প্রক্রিয়ায় যদি সেই শ্রমিক কর্মচারীর সঞ্চয়ের পরিমাণ কমবে, যদি না সেই শ্রমিক কর্মচারী সেই টাকা অন্য কোনও প্রকল্পে সঞ্চয় করেন।
ইপিএফও-র তরফে টাকা ফিক্সড ইনকাম সিকিওরিটি স্কিমে বিনিয়োগ করা হয়। বর্তমানে টাকা নিফটি নির্ভর ইটিএফ ছাড়াও সেন্ট্রাল পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইসেস এবং ভারত ২২ সূচকে বিনিয়োগ করা হয়। তবে তা কোনও শেয়ার কিংবা নির্দিষ্ট কোনও প্রাইভেট কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হয় না।
২০১৮-র জুন পর্যন্ত ইটিএফ-এ ইপিএফও-র বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৮,৯৪৬ কোটি টাকা। রাজ্যসভায় এমনটাই জানিয়েছেন শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার।