যোগীর রাজ্যে 'লাভ জিহাদ' বিরোধী আইনে ১০ বছরের কারাদণ্ড যুবকের
আরও একবার খবরের শিরোনামে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য। এই প্রথমবার উত্তর প্রদেশে 'লাভ জিহাদ' আইনে অভিযুক্ত যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানার শাস্তি ঘোষণা করল আদালত। 'লাভ জিহাদ' বিরোধী আইনে এই প্রথম উত্তর প্রদেশে কোনও ব্যক্তিকে সাজা দেওয়া হল।

কেন এই শাস্তি?
'লাভ জিহাদ' বিরোধী আইনে আদালত সাজা ঘোষণা করলেও কানপুরের বাসিন্দা অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে রয়েছে আরও অভিযোগ। মূলত ঘটনাটি ঘটে ২০১৭ সালের মে মাসে। ঐ সময় জাভেদ নামে এই অভিযুক্ত যুবক নিজেকে মুন্না নামে পরিচয় দেয়। এরপর এক নাবালিকা কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় মুন্না। কিছুদিন পর ওই নাবালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায় ওই যুবক। নির্যাতিতা নাবালিকা জানিয়েছে, অভিযুক্ত মুন্নার বাড়ি যাওয়ার পর তার আসল পরিচয় জানতে পারে কিশোরী। তখন তাকে জবরদস্তি 'নিকাহ' করার জন্য চাপ দেয় ওই যুবক। সে এই কাজ করতে অস্বীকার করলে তাকে ওই যুবক ধর্ষণ করে বলেও অভিযোগ।

যুবকের বিরুদ্ধে মামলা
বর্তমানে একাধিক রাজ্যে 'লাভ জিহাদ' বিরোধী আইন নিয়ে আসা হচ্ছে। মূলত নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্মান্তর রুখতে এই ব্যবস্থা বলে দাবি সরকারের। কানপুরের অভিযুক্ত যুবক জাভেদ ওরফে মুন্নার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে একাধিক মামলা। প্রথমত অন্য ধর্মের কোনও মহিলাকে জোর করে ধর্মান্তর করানোর চেষ্টার জন্য 'লাভ জিহাদ' বিরোধী আইনে মামলা তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে এক নাবালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া এবং তাকে ধর্ষণ করার অপরাধে 'নাবালিকা যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ' বা 'পকসো' আইনেও মামলা রজু করেছে পুলিশ। আর এই অপরাধেই দোষীকে শাস্তি ঘোষণা করেছে আদালত।

কী এই 'লাভ জিহাদ'?
'লাভ জিহাদ' হল প্রেম ঘটিত ধর্মান্তর অভিযান। মূলত এতে ইসলাম ধর্মাবলম্বী পুরুষরা প্রেমের ছল করে অমুসলিম মহিলাদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে। 'লাভ জিহাদ' প্রেম জিহাদ,রোমিও জিহাদ নামেও পরিচিত। ২০০৯ সালে এটি প্রথম জাতীয় স্তরে প্রকাশ্যে আসে যখন কেরালা ও কর্ণাটকে একের পর এক ধর্মান্তরের ঘটনা সামনে আসে। ২০১০ সালে কেরলের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রবীণ বাম নেতা ভি. এস. অচ্যুতানন্দন প্রথম লাভ জিহাদের বিষয়টি সকলের সামনে উত্থাপন করেছিলেন।

'লাভ জিহাদ' বিরোধী আইনে সাজা
লাভ জিহাদে অভিযুক্ত ব্যক্তির অপরাধের তীব্রতার উপর নির্ভর করে যে সে কেমন সাজাপ্রাপ্ত হবে। দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিরা ১০ বছর পর্যন্ত জেলে যেতে পারেন। এবং সেই সঙ্গে ১৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। অবশ্য আন্তঃধর্মীয় দম্পতিরা যারা বিয়ে করতে ইচ্ছুক তাদের অবশ্যই দুই মাস আগে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে জানাতে হবে।
