পথের পাশেই মন্দির, পিরিয়ড হলে স্কুল কামাই করতে হয় এই গ্রামের ছাত্রীদের
গ্রামে পথের পাশেই রয়েছে প্রাচীন মন্দির। আর সেকারণেই ওই মন্দিরের পাশের পথ পেরিয়ে মাসের ৫-৬ দিন স্কুলে যেতে পারে না ঋতুমতী ছাত্রীরা।
উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় তেহশিলের রাউতগড় গ্রামে পথের পাশেই রয়েছে প্রাচীন মন্দির। আর সেকারণেই ওই মন্দিরের পাশের পথ পেরিয়ে মাসের ৫-৬ দিন স্কুলে যেতে পারে না ঋতুমতী ছাত্রীরা। যাদের যে সময়ে পিরিয়ডস হয় তার সেই সময়ে স্কুলে যাওয়া মানা।
স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, ঋতুমতী মহিলারা মন্দিরের পাশ দিয়ে গেলে স্থানটি অপবিত্র হয়ে যাবে। যার ফলে ঋতুমতী মেয়েদের বাবা-মায়েরা বাধ্য হয়ে তাদের মেয়েদের ওই দিনগুলিতে স্কুলে পাঠান না।
[আরও পড়ুন; স্বাস্থ্য ও কৃষিতেও জিএসটি-র ধাঁচে নতুন কর ব্যবস্থা! কী দাবি জেটলির ]
শোনা গিয়েছে, গ্রামবাসীদের এমন হুলিয়ার ফলে বেশ কয়েকজন ভালো ছাত্রী গ্রাম ছেড়ে পাশের গ্রাম বা শহরে চলে গিয়েছে। আত্মীয়দের কাছে থেকে পড়াশোনা করছে। এই বিষয়ে খবর জানতে পেরেই স্থানীয় প্রশাসন গ্রামে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন: ভারতে বন্ধ বিশ্বের সবচেয়ে বড় পর্ন সাইট, কী বলছেন সংস্থার সিইও ]
উত্তরাখণ্ডের মহিলা মঞ্চ নামে একটি স্বেচ্ছ্বাসেবি সংস্থা গ্রামে গেলে বিষয়টি সকলের নজরে পড়ে। প্রশাসনিক মহলে বিষয়টি নিয়ে গেলে হইচই পড়ে যায়। স্কুলের শিক্ষকরা ছাত্রীদের এই বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা করলেও সমাজের ভয়ে কেউই স্কুলমুখো হতে চায় না। কারণ মেয়েদের স্কুলে পড়াই অনেকে ওই সমাজে পছন্দ করেন না। যার ফলে দিনের পর দিন সমাজের ভয়ে এখানে মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছেন না।
[আরও পডুন;বাজারে আসছে 'কন্যাশ্রী কলম', নাম রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই]