মোদীর দেশে বিধায়কদের আয় শুনলে চমকে যাবেন! রিপোর্ট প্রকাশে চাঞ্চল্য
রাজ্যের দেখভালের জন্য আমরা যাঁদেরকে নির্বাচিত করি, তাঁদের বাৎসরিক আয় জানলে চমকে যাবেন। ভারতে বিধায়কদের গড় আয় ২৪. ৫৯ লক্ষ টাকা।
রাজ্যের দেখভালের জন্য আমরা যাঁদেরকে নির্বাচিত করি, তাঁদের বাৎসরিক আয় জানলে চমকে যাবেন। ভারতে বিধায়কদের গড় আয় ২৪. ৫৯ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে কর্ণাটকের বিধায়কদের গড় আয় সব থেকে বেশি। বছরে প্রায় এককোটি টাকা করে। অন্যদিকে ছত্তিসগড়ের বিধায়কদের গড় আয় সব থেকে কম। বছরে ৫.৪ লক্ষ টাকা। ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ এবং এডিআরের রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
মহিলা বিধায়কদের থেকে পুরুষ বিধায়কদের আয়ও বেশি। সমীক্ষায় দেখা দিয়েছে পুরুষ বিধায়কদের আয় মহিলা বিধায়কদের থেকে প্রায় দ্বিগুণ।
সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে, যেসব বিধায়ক নিজেদেরকে নিরক্ষর বলে ঘোষণা করেছেন, তাঁদের বাৎসরিক গড় আয় প্রায় ৯.৩১ লক্ষ টাকা। এছাড়াও প্রায় অর্ধেক বিধায়ক তাদের পেশা হিসেবে ব্যবসা কিংবা কৃষিকেই দেখিয়েছেন।
রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, সারা ভারতে ৪, ০৮৬ বিধায়কের মধ্যে ৩, ১৪৫ জনের দেওয়া হলফনামায় ঘোষিত আয় বিশ্লেষণ করা হয়েছে। অন্যদিকে ৯৪১ জন বিধায়ক তাদের আয় ঘোষণা করেননি। তাঁদের এই রিপোর্টের বাইরে রাখা হয়েছে।
রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, বর্তমানে ৩১৪৫ জন বিধায়কের গড় আয় ২৪.৫৯ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে ৭১১ জন দক্ষিণের রাজ্যগুলির। যাঁদের গড় বাৎসরিক আয় ৫১.৯৯ লক্ষ টাকা।
পূর্বাঞ্চলের ৬১৪ জন বিধায়কের বাৎসরিক আয়ের গড় ৮.৫৩ লক্ষ টাকা।
রাজ্য ভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, কর্নাটকের ২০৩ জন বিধায়কের আয় বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, তাদের বাৎসরিক গড় আয় ১১১.৪ লক্ষ টাকা। এর পরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানকার ২৫৬ জন বিধায়কের আয় বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাঁদের বাৎসরিক গড় আয় ৪৩.৪ লক্ষ টাকা।
ছত্তিসগড়ের ৬৩ জন বিধায়কের আয় বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, তাঁদের বাৎসরিক গড় আয় ৫.৪ লক্ষ। অন্য ঝাড়খণ্ডের ৭২ জন বিধায়কের গড় বাৎসরিক আয় ৭.৪ লক্ষ টাকা।
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, যে ৩, ১৪৫ জনের আয় বিশ্লেষণ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৫৫ জন অর্থাৎ প্রায় ২ শতাংশ বিধায়ক তাঁদের পেশা কী তা উল্লেখ করেননি।
বিধায়কদের মধ্যে ৭৭১ জন অর্থাৎ প্রায় ২৫ শতাংশ, পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন ব্যবসা। আর ৭৫৮ জন অর্থাৎ প্রায় ২৪ শতাংশ বিধায়ক কৃষিকাজকে তাঁদের পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন।
কৃষিকে পেশা হিসেবে দেখানো ৩৯৭ জন অর্থাৎ প্রায় ১৩ শতাংশ বিধায়কের বাৎসরিক গড় আয় প্রায় ৫৭.৮১ লক্ষ টাকা।
আবাসন কিংবা অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন প্রায় এক শতাংশ করে বিধায়ক। তাঁদের গড় আয় যথাক্রমে ৩৯.৬৯ এবং ২৮.৪৮ লক্ষ টাকা।
১০৫২ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৩ শতাংশ বিধায়ক নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখিয়েছেন পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মধ্যে। যাঁদের বাৎসরিক গড় আয় ৩১.০৩ লক্ষ টাকা।
১৯৯৭ জন অর্থাৎ প্রায় ৬৩ শতাংশ বিধায়ক নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক কিংবা তার বেশি দেখিয়েছেন। যাঁদের বাৎসরিক গড় আয় ২০.৮৭ লক্ষ টাকা।
[আরও পড়ুন: মমতার কুরুচিকর ছবি ফেসবুকে! কুৎসার পোস্টে গ্রেফতার দিলীপ-ঘনিষ্ঠ বিজেপিকর্মী]
অষ্টম শ্রেণি পাশ বলে দেখিয়েছেন ১৩৯ জন বিধায়ক। যাঁদের গড় আয় ৮৯.৮৮ কোটি টাকা।
১৪০২ বিধায়কের বয়স ২৫ থেকে ৫০-এর মধ্যে। যাঁদের বাৎসরিক গড় আয় ১৮.২৫ কোটি টাকা। এছাড়াও ১৭২৭ জন বিধায়কের বয়স ৫১ থেকে ৮০-র মধ্যে। যাঁদের বাৎসরিক গড় আয় ২৯.৩১ লক্ষ টাকা করে। ১১ জন বিধায়কের বয়স ৮১-৯০-এর মধ্যে। যাঁদের বাৎসরিক গড় আয় ৮৭.৭১ লক্ষ টাকা। ২ জন বিধায়কের বয়স ৯০-এর ওপরে। যাঁদের বাৎসরিক গড় আয় ৬০.৯১ লক্ষ টাকা।
[আরও পড়ুন: মোদী দেশে বিধায়কদের আয় শুনলে চমকে যাবেন! রিপোর্ট প্রকাশে চাঞ্চল্য]
বিধায়কদের মধ্যে ২৫৮ জন অর্থাৎ প্রায় ৮ শতাংশ মহিলা। যাঁদের বাৎসরিক গড় আয় ১০.৫৩ লক্ষ টাকা।
[আরও পড়ুন:এবার কংগ্রেসে ভাঙন কি জঙ্গলমহলের জেলায়! হেভিওয়েট নেতার পদক্ষেপে জল্পনা]