অযোধ্যায় রামমন্দির সংলগ্ন জমি কেনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, একসপ্তাহে রিপোর্ট চাইলেন যোগী
সম্প্রতি 'দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস' সংবাদমাধ্যমে একটি অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছিল, অযোধ্যায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের আত্মীয়রা অযোধ্যায় অল্প দামে জমি কিনেছেন ৯ নভেম্বর ২০১৯-এরপর। ওইদিনই রামমন্দির নির্মানের রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৯ এ সুযোগ বুঝে কিনে রাখা ওই জমির দাম এখন কয়েক কোটি৷ এবং ওই জমির আসল মালিকরা (যার বড় অংশ দলিত) জমিগুলি বেচে খুব অল্পই টাকা পেয়েছেন!

কী বলছেন উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব?
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমটিরই দাবি তাঁদের এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে যোগী সরকার। এবং এ বিষয়ে একটি পুর্ণাঙ্গ তদন্ত করে সাতদিনের মধ্যে তাঁর রিপোর্ট দিতে বলেছেন খোদ যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (রাজস্ব) মনোজ কুমার সিং বিষয়টি নিয়ে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আগামী ৫-৭ দিনের মধ্যে প্রাসঙ্গিক নথি সহ একটি রিপোর্ট চেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সংবাদপত্রের প্রতিবেদনটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন৷ তাঁর নির্দেশেই এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে এই কমিটির তদন্ত পরিচালনা করতে বলা হয়েছে।

রাজ্যের রাজস্ব বিভাগের বিশেষ সচিব করবেন তদন্ত!
রাজ্যের রাজস্ব বিভাগের বিশেষ সচিব রাধে শ্যাম মিশ্রকে এই বিষয়ে তদন্ত পরিচালনা করতে বলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গিয়েছে অযোধ্যায় জমির নতুন ক্রেতাদের মধ্যে অন্তত ১৫ জন ক্রেতা, স্থানীয় বিধায়ক, অযোধ্যায় থাকা বা চাকরি করছেন এমন আমলাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এবং স্থানীয় রাজস্ব আধিকারিকর। যাদের কাজ ছিল অযোধ্যায় জমির লেনদেন প্রমাণীকরণ। দলিত গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জমি কেনার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগে উঠেছে৷

কাদের নাম জড়িয়েছে ঘটনায়!
যেসব কর্মকর্তার আত্মীয়স্বজন জমি কিনেছেন তাঁদের মধ্যে ক্ষমতাশালী হলেন, এমপি আগরওয়াল, (অযোধ্যার বিভাগীয় কমিশনার ৩০নভেম্বর ২০১৯ থেকে) পুরুষোত্তম দাস গুপ্ত (যিনি ২০ জুলাই ২০১৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১-এর মধ্যে অযোধ্যার প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ছিলেন।) দীপক কুমার,(যিনি ২৬ জুলাই ২০২০ এবং ৩০ মার্চ ২০২১-এর মধ্যে পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) ছিলেন।)

অল্প দামে দলিতদের জমি নেওয়ার অভিযোগ!
অভিযোগ মহর্ষি রামায়ণ বিদ্যাপীঠ ট্রাস্ট (MRVT) মাত্র ৬.৩৮ লক্ষ টাকায় ট্রাস্টের সাথে নিযুক্ত একজন দলিত ব্যক্তিকে ব্যবহার করে এক ডজন দলিত পরিবারের কাছ থেকে ২১ বিঘা (প্রায় ৫২০০০ বর্গ মিটার) জমি অধিগ্রহণ করেছিল। বর্তমান যার মূল্য ৪.২৫ কোটি থেকে বেড়ে ৯.৫৮ কোটি টাকা হয়েছে।