করোনার সেকেন্ড ওয়েভে অক্সিজেনের অভাবে কোনও মৃত্যু হয়নি রাজ্যে, রিপোর্ট পেশ যোগী সরকারের
করোনার সেকেন্ড ওয়েভে অক্সিজেনের অভাবে কোনও মৃত্যু হয়নি রাজ্যে, রিপোর্ট পেশ যোগী সরকারের
করোনা সংক্রমণে সেকেন্ড ওয়েভে অক্সিজেনের সংকটে একজনেও মৃত্যু হয়নি দেশে। সংসদের বাদল অধিবেশনে এমনই দাবি করেছিল মোদী সরকার। এই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। বাস্তবে উল্টো ঘটনাই ঘটেছিল। যদিও যোগী সরকার মোদী সরকারের রিপোর্টকেই মান্যতা দিয়েছে।এবং জানিয়েছে করোনা সংক্রমণের সেকেন্ড ওয়েেভ অক্সিজেনের অভাবে একজেনও মৃত্যু হয়নি উত্তর প্রদেশে।
করোনা ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ মারাত্মক আকার নিয়েছিল গোটা দেশে। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছিলেন করোনা আক্রান্ত রোগীরা। শয়ে শয়ে রোগীর মৃত্যু হয়েছিল অক্সিজেনের অভাবে। রাজধানী দিল্লি থেকে শুরু করে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ সর্বত্র ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল করোনার সেকেন্ড ওয়েভে। তীব্র অক্সিজেন সংকট তৈরি হয়েছিল গোটা দেশে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে মোদী সরকার বাইরের দেশ থেকে আক্সিেজন আমদানি করেছিল। সিঙ্গাপুর, আমেরিকা থেকেও অক্সিজেন আমদানি করা হয়েছিল। জাহাজে করে বিমানে করে বাইরের দেশ থেকে অক্সিজেন নিয়ে আসা হয়েছিল। সেই অক্সিজেন বিভিন্ন রাজ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল বায়ুসেনার বিমানে করে। মহারাষ্ট্র, গুজরাত, দিল্লিতে বায়ুসেনার কপ্টারে অক্সিজেন পৌঁছানো হয়েছিল। তার পরেই মোদী সরকার সব রাজ্যে অক্সিজেন উৎপাদন পর্যাপ্ত করার নির্দেশ দেয়। সেই মত রাজ্যগুলি থার্ড ওয়েভের আগে অক্সিজেন উৎসাপদে তৎপর হয়। মোদী সরকার সব রাজ্যেই অক্সিজেন উৎপাদনের তৎপরতা শুরু করেছিল।
কিন্তু লোকসভা অধিবেশনে মোদী সরকারের এই দাবি মেনে নিতে পারেনি একাধিক রাজ্য। বিশেষ করে বিরোধীরা এবং অবিজেপি রাজ্যগুলি এর প্রতিবাদে সরব হয়েছিল। তারপরেই রাজ্যগুলির কাছে করোনার সেকেন্ড ওয়েভে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর খতিয়ান চাওয়া হয়। উত্তর প্রদেশ সরকার সেই রিপোর্ট পেশ করেছে এবং জানিয়েছে করোনার সেকেন্ড ওয়েভে অক্সিজেনের অভাবে একজনেরও মৃত্যু হয়নি সেরাজ্যে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য উত্তর প্রদেশে বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই যোগী সরকার এই রিপোর্ট তৈরি করেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য করোনার সেকেন্ড ওয়েভের সময় শয়ে শয়ে মৃতদেহ ভাসতে দেখা গিয়েছিল গঙ্গায়। সবই উত্তর প্রদেশ থেকে ভেস আসছিল। এই নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। যোগী সরকার করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা গোপন করতেই মৃতদেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে যোগী সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে করোনার সেকেন্ড ওয়েভে ২২,৯১৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল রাজ্যে। তাঁদের মধ্যে কারোর মৃত্যু অক্সিজেনের অভাবে হয়নি।