অপহরণকারী লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী! বালিকাকে অপহরণকারীদের হাতেই ফেরানোর সিদ্ধান্ত যোগী প্রশাসনের
অপহৃতদের হাত থেকে উদ্ধারের পর ফের তাদের অপহরণকারীদের হাতেই তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত যোগীর প্রধাসনের। সোমবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের সামনে থেকে এক বালিকা ও তার প্রমিককে অপহরণ করেছিল অপহরণকারীরা।
অপহৃতদের হাত থেকে উদ্ধারের পর ফের তাদের অপহরণকারীদের হাতেই তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত যোগীর প্রধাসনের। সোমবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের সামনে থেকে এক বালিকা ও তার প্রমিককে অপহরণ করেছিল অপহরণকারীরা। তবে অপহরণকারীরা ছিল পরিবারেরই লোকজন। পুলিশ দুজনকে উদ্ধারের পর পরিবারের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১১ জুলাই বিয়ের পর সোমবার ওই বালিকা ও তার প্রমিক গিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টে। তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও পরিবারের তরফে এই সম্পর্কের বিরোধিতা করা হয়েছিল। এরই জন্য তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে নিরাপত্তার দাবি করতে চেয়েছিল। যদিও আদালতের ঢোকার আগেই তাদের দুজনকেই অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ পাওয়ার পরেই এলাহাবাদ পুলিশের তরফ থেকে একাধিক তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। কয়েকঘন্টার মধ্যেই ফতেপুর জেলায় তাদের গাড়িটিকে সনাক্ত করে পুলিশ।
যুবতীর বাবা ও দাদা-সহ ছয় অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। লোকসভা নির্বাচনে প্রগতিশীল সমাজবাদি পার্টির নেতা শিবপাল যাদবের দলের প্রার্থী হিসেবে আমরোহা থেকে লড়াই করা মাতলুব আহমেদ অপহরণকারীদের এই দলে ছিলেন। তিনি এই পরিবারের আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ পরিবারের হাতেই বালিকাকে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কেননা পরিবারের দাবি অনুযায়ী সে এখনও প্রাপ্ত বয়স্ক নয়। যদিও এই বালিকার সঠিক বয়স এখনও জানা যায়নি। যদিও স্বামীর পরিবারের দাবি, স্ত্রী প্রাপ্ত বয়স্কই।
উত্তরপ্রদেশের আমরোহার বাসিন্দা ওই বালিকা বিয়ে করে ১১ জুলাই। ১৪ জুলাই তার মা থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে।